ফেনী ও পরশুরামে বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
ফেনীর তিনটি পৌরসভার মধ্যে দুটিতেই বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যে ফেনী পৌরসভার বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী ফজলুর রহমান বকুলের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে ঋণ খেলাপির অভিযোগে। অপরদিকে পরশুরাম পৌরসভায় মেয়র পদপ্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ জমানতের টাকা কম দেওয়ায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
এর ফলে পরশুরাম পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নিজাম উদ্দিন সাজেলের বাইরে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র পদে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
একইভাবে তিন পৌরসভায় সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আটজন একক প্রার্থী হওয়ায় তাঁরাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
ফেনীর তিন পৌরসভায় আটজন মেয়র পদে, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৩ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আজ বুধবার সকাল থেকে রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। আগামীকাল রোববারও যাচাই-বাছাই চলবে।
ফেনী পৌরসভা
ফেনী পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের হাজি আলাউদ্দিন, বিএনপির ফজলুর রহমান বকুল, জাতীয় পার্টির মির্জা মোহম্মদ ইকবাল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুল আলম মজুমদার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. এনামুল হক জানান, বাছাইয়ের সময় ঋণ খেলাপি হওয়ায় ফজলুর রহমান বকুলের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
বতর্মানে এখানে মেয়র পদে তিনজন প্রার্থী রয়েছেন।
পরশুরাম পৌরসভা
পরশুরাম পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নিজাম উদ্দিন সাজেল ও বিএনপির মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
বাছাই দিনে মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ জমানতের টাকা কম দেওয়ায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোজাম্মেল হোসেন।
এর ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন সাজেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
দাগনভূঞা পৌরসভা
দাগন ভূঞা পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ওমর ফারুখ খান, বিএনপির কাজী সাইফুর রহমান স্বপন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাছাইয়ে সবার মনোনয়নপত্র বহাল আছে।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা (ইউএনও) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।