জামায়াতকে নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্বেগ
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/12/05/photo-1449268124.jpg)
পৌরসভা নির্বাচনে নিবন্ধন বাতিল হওয়া দল জামায়াতে ইসলামীর নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে পার্টির সভাপতি ও বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, জামায়াত দলগতভাবেই যুদ্ধাপরাধী। এটি এখন আর কেবল অভিযোগ নয়, বরং আদালতের বিচারে প্রমাণিত সত্য। শুধু তাই নয়, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ফাঁসির আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনে এবং জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী সুপ্রিম কোর্টে বিচার চলাকালীন প্রাণদন্ড লাঘবের আবেদনে একাত্তরে তাদের স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকান্ড স্বীকার করে নিয়েছেন। ফলে দলগতভাবেই যারা স্বাধীনতাবিরোধী, সেই দলের কোনো সদস্যের স্বাধীন বাংলাদেশের কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অধিকার থাকতে পারে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতের গঠনতন্ত্র স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারণে উচ্চ আদালতের রায়ে তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। যে দলটির গঠন প্রক্রিয়া ও গঠনতন্ত্র বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক, সেই দলের সদস্যরা কীভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে?
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশিত হয়েছে যে জামায়াতের অন্তত ৪৪ জন নেতা দেশের বিভিন্ন পৌরসভায় মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এর বাইরে আরো বহু সংখ্যক নেতা বিএনপি’র ব্যানারে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, প্রথমত এই নিবন্ধন বাতিল হওয়া ও যুদ্ধাপরাধী দলের সদস্যপদ তারা ত্যাগ করেন নি, ফলে সাংবিধানিকভাবেই এদের প্রার্থী হওয়ার কোনো সুযোগ থাকতে পারে না। দ্বিতীয়ত এই ৪৪ জনের প্রায় সবাই সাম্প্রতিক সময়েও রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কাজের সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হয়েছিলেন। এদের নামে আগুন সন্ত্রাসে মানুষ হত্যাসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা চলমান। এমন সব প্রার্থীরা স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পৌরসভা দখল করতে পারলে রাষ্ট্রবিরোধী অপকর্ম আরো আস্কারা পাবে। একইসাথে সারাদেশে জনজীবন আরো বেশি নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে নিপতিত হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে উল্লেখ করে নেতারা বলেন, তাঁরা তাঁদের পার্টির পক্ষ থেকে এরই মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত করে জামায়াতের সদস্যদের নির্বাচনে প্রার্থিতার বিষয়ে এ সকল বক্তব্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। এখন মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান সমুন্নত রেখে জনজীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।
একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন সে দায়িত্ব পালন করতে আরো বেশি সক্রিয় ও দায়িত্ববান হবে বলে বিবৃতিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলের দুই শীর্ষ নেতা।