এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বিশ্বজিতের ১৩ খুনি
কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের চাপাতির কোপে নির্মমভাবে খুন হয়েছিলেন দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস। এর পর পেরিয়ে গেছে তিনটি বছর। কিন্তু এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে হত্যা মামলার সাজার আদেশ পাওয়া ১৩ খুনি। তাঁদের প্রেপ্তারের কোনো প্রতিবেদন বা তথ্যও নেই ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।
২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম নিজামুল হক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের আটজনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ছাত্রলীগের আটজন হলেন—রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, জি এম রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন, কাইয়ুম মিয়া, ইমদাদুল হক ওরফে এমদাদ, সাইফুল ইসলাম, রাজন তালুকদার ও নূরে আলম ওরফে লিমন। তাঁদের মধ্যে রাজন তালুকদার ও নূরে আলম পলাতক। বাকি ছয়জন বর্তমানে কারাগারে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া ছাত্রলীগের বাকি ১৩ জন হলেন—এ এইচ এম কিবরিয়া, গোলাম মোস্তফা, খন্দকার ইউনুস আলী, তারেক বিন জোহর, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন।
তাঁদের মধ্যে এস এম কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফা কারাগারে আছেন। বাকি ১১ জন পলাতক।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) আবুল কালাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আদালতে কোনো আসামি গ্রেপ্তারের বা আত্মসমর্পণের খবর আসেনি। যতদিন পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার না করবে, ততদিন সংশ্লিষ্ট থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেন্ডিং থাকবে। শুধু আসামিরা মারা গেলে পুলিশ তাঁদের মারা যাওয়ার তথ্য দিয়ে আদালতে একটি প্রতিবেদন পাঠাতে পারবে।’
আবুল কালাম আরো বলেন, ‘বিশ্বজিতের মামলার রায়ের দুই দিনের মাথায় আসামিদের স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো প্রেপ্তারি পরোয়ানার তামিল প্রতিবেদন ফেরত আসে নাই।’