মুক্তিপণ দেওয়ার পরও মালয়েশিয়ায় দুই যুবককে হত্যা
পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ পাওয়ার পরও মালয়েশিয়ায় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার দুই যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মালয়েশিয়ার একটি পাহাড় থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত ২৮ নভেম্বর তাঁরা অপহৃত হন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত দুই যুবক হলেন কালকিনির সিডিখান এলাকার চুন্নু খানের ছেলে মো. রাসেল খান (৩০) ও রমজানপুর এলাকার শাহজাহান খানের ছেলে বিজয় খান (২২)। তাঁরা দুই বছর ধরে মালয়েশিয়ায় একসঙ্গে ঠিকাদারি কাজ করছিলেন।
এ ঘটনায় গতকাল রাতেই র্যাব ৭-এর একটি দল অভিযান চালিয়ে টেকনাফ থেকে আনসার উল্লাহ (২৭) ও মালয়েশিয়ায় ইউনুস ও সাকের নামের দুজনকে দেশটির পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এই তিনজনের বাড়ি টেকনাফে। বরিশালের গৌরনদী থানায় এ ব্যাপারে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অপরদিকে এ খবরে নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নিহতদের পরিবারগুলো।
রাসেলের ছোট ভাই শিহাব খান বলেন, ‘গত ২৮ নভেম্বর আমার ও আমার মায়ের মুঠোফোনে তাঁদের অপহরণের কথা জানিয়ে এক ব্যক্তি মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। এর পরদিন ২৯ তারিখে ইসলামী ব্যাংকের গৌরনদীর তর্কি শাখা থেকে টেকনাফের শাখায় দুটি হিসাবে এই টাকা পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে গৌরনদী থানায় একটি অপহরণ মামলা করা হয়।’
শিহাব আরো বলেন, গতকাল রাতেই মালয়েশিয়ায় থাকা গ্রামের কয়েকজন মুঠোফোনে তাঁদের লাশ উদ্ধারের খবর জানান। অপহরণকারীদের চিনে ফেলার কারণেই হয়তো তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্দুবালা বলেন, ‘টেকনাফে যে দুটি ব্যাংক হিসাবে মুক্তিপণের টাকা পাঠানো হয়েছে তার সূত্র ধরেই এই তিনজন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’