মামলা প্রত্যাহার করে মোসাদ্দেক আলীর মুক্তি দাবি
যত দ্রুত সম্ভব, সব মামলা প্রত্যাহার করে বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) সভাপতি, এনটিভি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলীকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তাঁর মুক্তির দাবিতে গঠিত পরিষদ।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আলহাজ্ব মো. মোসাদ্দেক আলী মুক্তি পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। তাঁরা বলেন, মোসাদ্দেক আলীর মতো জনপ্রিয় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবককে যে ধরনের অভিযোগে আটক করে রাখা হয়েছে, তা হাস্যকর ও দুঃখজনক।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শিক্ষাবিদ ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। মুক্তি পরিষদের সদস্য সচিব শিশুসংগঠক ও অনুষ্ঠান নির্মাতা এম হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, কবি আবদুল হাই শিকদার, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান জিন্নাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) যুগ্ম মহাসচিব ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।
শিক্ষাবিদ ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ‘বিনা দোষে’ যাঁরা কারাগারে আটক আছেন তাঁদেরকে মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশে বড় যে দুই দল আছে, ভবিষ্যতেও তারা অনেক দিন থাকবে। আর তাই বিরোধী দলকে প্রতিপক্ষ ভেবে নির্মূল না করে, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সমঝোতা ও সহনশীলতার মনোভাব তৈরি করতে হবে।
কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, ‘মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার- এই তিনটার একটাও এখন আর বাংলাদেশে নাই। সেই তিনটি জিনিসকে ফিরিয়ে আনার জন্য, গণমাধ্যম বাংলাদেশে যে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছিল, সেটাও হয়তো শাসকদের খুব চক্ষুশূল হয়েছে। সেজন্য হয়তো মোসাদ্দেক আলীর ওপরে তারা খুব বিরক্ত।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ বলেন, ‘অবিলম্বে আলহাজ্ব মোসাদ্দেক আলীর মুক্তি দাবি করছি এবং আশা করছি যে সরকার যেসব মিথ্যা মামলা দিয়েছে সেই মিথ্যা মামলাগুলো তারা তুলে নেবে।’
সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান জিন্নাতুন নেসা তাহমিদা বেগম বলেন, ‘উনি যে সমাজকর্ম করেছেন, উনি যে শিক্ষানুরাগী, ওনার যে এত ট্যালেন্ট ছিল, যার জন্য আমরা দেখতে পেয়েছি অতি অল্প সময়ের মধ্যে এনটিভি এত ওপরে উঠে গেছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে এনটিভি সবচেয়ে পপুলার চ্যানেল।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী একজন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। মাদ্রাসা, বৃদ্ধাশ্রম ও চাইল্ড কেয়ার হোম প্রতিষ্ঠা করে তিনি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবা করছেন।তাঁর হাতে গড়া বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কারণে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। এনটিভির মতো জনপ্রিয় গণমাধ্যমের কর্ণধার তিনি।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলীর মুক্তির দাবিতে এ মুক্তি পরিষদ গঠিত হয়।
দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক, চিকিৎসাবিদ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, শিল্পী ও সমাজকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত এ মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।
মুক্তি পরিষদের সদস্যরা হলেন কবি আল মাহমুদ, অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক জিন্নাতুন নেসা তাহমিদা বেগম, অধ্যাপক মুস্তাহিদুর রহমান, অধ্যাপক ইউসুফ হায়দার, কবি আল মুজাহিদী, অধ্যাপক খলিলুর রহমান, অধ্যাপক আবু আহমেদ, চলচ্চিত্রকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, অধ্যাপক মোসলেহ উদ্দীন তারেক, গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক দিল রওশন জান্নাত আরা নাজনিন, অধ্যাপক আখতার হোসেন, অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক শামীমা লাকি, অধ্যাপক তাহমিনা আক্তার টফি, অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলাম, অধ্যাপক আরিফ বিল্লাহ, অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, এম এ আজিজ, রুহুল আমিন গাজী, আবদুল হাই শিকদার, কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ; ডা. আবদুল মান্নান, ডা. ফজলুল হক, ডা. আবদুল আজিজ, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডা. আবদুস সালাম, ডা. আবদুস শাকুর ও ডা. সিরাজ উদ্দীন; চলচ্চিত্রকার সোহানুর রহমান সোহান, গীতিকার মুন্সী ওয়াদুদ, সংগীত পরিচালক মকসুদ জামিল মিন্টু, সংগীত পরিচালক ইমন সাহা, সংগীতশিল্পী এম এ মান্নান, নাদিরা বেগম, ফাতেমা তুজ জোহরা, মো. খুরশীদ আলম, রিজিয়া পারভীন, মনির খান ও অজয় শিকদার; নৃত্যপরিচালক সুলতানা হায়দার, সাজু আহমেদ, ইভান শাহরিয়ার সোহাগ, তারেক শিকদার, গোলাম রওশন ইয়াজদানী, খোরশেদ আলম, রঞ্জন কুমার দত্ত, মাজনুন মিজান, ওয়াহিদ আনাম, মুজাহিদুল ইসলাম তুষার, মিশু সাব্বির, সিদ্দিকুর রহমান, আলী বশির, কায়েস চৌধুরী, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাসুদ উদ্দিন আহম্মেদ, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, এলবার্ট পি কস্টা, অধ্যাপক মার্সেল চিরেন, মৃগেন হাগিদক, সুব্রত উইলিয়াম রোজারিও, পল্লব গোমেজ, নাজমুল হক খান, আজমল বক্স সাদেক, খন্দকার হাসনাত করিম, কাদের গণি চৌধুরী, শাহীন হাসনাত, শফিক শাহীন, ডা. শুভ হোসাইন, ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্ত, ডা. শারমিন আব্বাসী, শিক্ষিকা সামিনা আখতার, শিল্পী পরিষিকা শাপলাকুঁড়ি শিল্পীবৃন্দ- ফারিয়ার নাওমী আঁচল, নূরে খোদা মাশুক, মুগ্ধ, ফারাহ্ বশির, হুমায়রা রথি, সাদিয়া বিপা, সুরাইয়া শাকিলা, ফারদিন রবি, এলিস, রুক্সার মাহবুব, ক্লোজআপ ওয়ান শিল্পীবৃন্দ- মুহিন খান, ওয়াসিম কবির পলাশ, পুলক অধিকারী, টুটুল খান, শশী, অবন্তী দেব সিঁথি ও আবে জান্নাত।