পোলিং এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে পুলিশ
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তারা পোলিং এজেন্টদের যে তালিকা জমা দিয়েছেন, সেই তালিকা ধরে ধরে পুলিশ তাদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। নানাভাবে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। এতে পোলিং এজেন্টরা যেমন বাড়ি থাকতে পারছে না, তেমনি প্রচারেও অংশ নিতে পারছে না। ফলে পোলিং এজেন্ট মনোনয়ন নিয়ে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন।
একই ধরনের অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ মেয়র পদপ্রার্থীও।
কলারোয়া পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী আক্তারুল ইসলাম আজ রোববার জানান, ‘তালিকা জমা দেওয়ার পর তা জানাজানি হয়। এর পরই তাদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ যেতে শুরু করেছে। মামলাসহ নানা অজুহাতে তাদের খুঁজছে পুলিশ। ফলে তারা বাড়িঘরে টিকতেই পারছে না।’
আক্তারুল আরো জানান, গত তিনদিনে কলারোয়ায় বিএনপি সমর্থক ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রচার তো দূরে থাক পৌর এলাকায় বিএনপির লোকজন দাঁড়াতেই পারছে না।
এতে সাধারণ প্রচারকর্মীদের মাঝেও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরো বলেন, ‘ভোটের দিন আমরা কেন্দ্রে থাকতে পারব কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।’
কলারোয়ার আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ মেয়র পদপ্রার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমার দলীয় সমর্থকদের পোলিং এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর তারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হুমকির মুখে পড়েছেন। তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।’
তবে সাতক্ষীরা পৌরসভার বিএনপিদলীয় মেয়র পদপ্রার্থী তাজকিন আহমেদ চিশতি জানান, তিনি এখন পর্যন্ত এমন ধরনের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হননি। তবে তাঁর ভোটার ও সমর্থকদের অন্যান্য প্রার্থী ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ।
বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বহিষ্কার
সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসিম ফারুক খান মিঠুকে বিএনপির সাধারণ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। নাসিম ফারুক খান মিঠু বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। তিনি নারকেলগাছ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
এ ব্যাপারে নাসিম ফারুক খান মিঠু বলেন, ‘আমি তো বিএনপির কোনো সদস্য নই। তাহলে আবার বহিষ্কার কিসের। তা ছাড়া এমন কোনো ঘটনা আমার জানাও নেই।’