উত্তর কোরিয়ার সেই কূটনীতিককে বহিষ্কার
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/03/10/photo-1425973730.jpg)
সাতাশ কেজি সোনাসহ আটক হওয়ার ঘটনায় ঢাকাস্থ উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের প্রথম সচিব সন ইয়াং ন্যামকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৭ কেজি সোনাসহ সন ইয়াং ন্যামকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। ওই দিন সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসেন তিনি। আটকের পর তাঁকে ঢাকায় উত্তর কোরিয়া দূতাবাস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে আজ ১০ মার্চ প্রকাশিত খবরে বলা হয়, গ্রেপ্তারের পর ভিয়েনা কনভেনশনের অধীন কূটনৈতিক প্রটোকল অনুযায়ী গত শুক্রবার ন্যামকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে দুই দেশই তাঁকে বরখাস্ত করতে ঢাকার উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসকে বলে।
রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ছাড়েন ন্যাম। এর কয়েক ঘণ্টা পর তাঁকে বরখাস্ত করার এক আদেশ জারি করে বাংলাদেশ সরকার।
কূটনীতিকের চোরাচালানে জড়িত থাকার ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার আরেক কূটনীতিক রি সং-হাইয়নকে তলব করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হাইয়ন এ ঘটনায় বাংলাদেশের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
ন্যামকে গ্রেপ্তারের সময় শুল্ক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার কাজী মো. জিয়াউদ্দিন জানিয়েছিলেন, ন্যাম উত্তর কোরিয়ার নাগরিক। তিনি বাংলাদেশে কোরিয়ান দূতাবাসের প্রথম সচিব ও কমার্শিয়াল অফিসার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাস্টমসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ২০১১ সাল থেকে সন ইয়াং ন্যাম বাংলাদেশে কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত এক মাসে তিনি পাঁচবার বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করেন। এর আগেও তাঁর সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল।
কাস্টমসের কর্মকর্তারা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করার পরপরই ন্যামকে আটক করেন শুল্ক বিভাগের সদস্যরা। পরে তাঁর হাতব্যাগ তল্লাশি করতে চাইলে প্রথমে তিনি অস্বীকৃতি জানান। প্রায় দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি হাতব্যাগ তল্লাশি করতে দেন। ওই হাতব্যাগ থেকে ১৭০টি সোনার বার, চুড়ি, গলার চেইন, কানের দুল, ব্রেসলেটসহ ২৭ কেজি সোনা পাওয়া যায়।