আখেরি মোনাজাত শুরু
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে শুরু হওয়া মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শুরু হয়েছে।
আজ রোববার বেলা ১১টা সাত মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়।
মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা প্রাঙ্গণে ঢল নেমেছে লাখো মানুষের। ময়দানের আশপাশের রাস্তায়ও অবস্থান নিয়েছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। এই মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লাখো মানুষ।
আখেরি মোনাজাতের আগে বাদ ফজর বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম। এ বছর আখেরি মোনাজাতে পাওয়া যাবে না ভারতের প্রখ্যাত আলেম ও বিশ্ব তাবলিগ জামাতের সাবেক আমির মাওলানা জোবায়েরুল হাসানকে। ১৮ বছর ধরে তিনিই বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেছেন। তিনি মারা যাওয়ায় এ বছর আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করছেন ভারতের অপর শীর্ষস্থানীয় মুরব্বি মাওলানা মোহাম্মদ সা’দ। মোনাজাতের আগে তিনিই হেদায়েতি বয়ান করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আজ ভোর থেকেই শীত উপেক্ষা করে লাখো মুসল্লি মহাসড়কে হেঁটে ও ট্রেনে করে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে গিয়ে সমবেত হয়েছেন। বিপুলসংখ্যক নারী মুসল্লিও মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমার আশপাশের সড়কে সকাল থেকেই অবস্থান নিয়েছেন। এ সময় তাঁরা ইসলামের আমল, আকিদা ও দাওয়াত বিষয়ে দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের বয়ান শুনছেন। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
ইজতেমায় আসা কয়েকজন মুসল্লি এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন, ইজতেমায় অংশ নিয়ে তাঁরা দেশ ও মানুষের জন্য দোয়া করবেন। ইজতেমার শিক্ষা আমল করে ইসলামী জীবনাচরণে তাঁরা মনোনিবেশ করবেন। আখেরি মোনাজাত শেষে ইসলামী দাওয়াতি কাজে অংশ নেবেন।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর চার দিন বিরতি দিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারি শুরু হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ১৭ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
আখেরি মোনাজাতের আগে ইজতেমার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে গাজীপুরে পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশীদ জানান, মুসল্লিদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়োজিত আছেন। তাঁরা মুসল্লিদের ঘরে ফেরা পর্যন্ত এখানে দায়িত্ব পালন করবেন।
এসপি আরো জানান, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ভোর থেকেই মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত সুবিধার জন্য টঙ্গী জংশন থেকে ২৩টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোনাজাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইজতেমা পার্শ্ববর্তী সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।