পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে বিশাল মানববন্ধন
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/01/18/photo-1453129642.jpg)
পার্বত্য চুক্তি যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবিতে তিন পার্বত্য জেলাজুড়ে ৩০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় মানববন্ধন করা হয়েছে। পাহাড়ের তিন সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম আজ সোমবার এই মানববন্ধন করে।
আজ সকাল ১০টায় রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সমর্থনে বিভিন্ন ব্যানার ও প্লাকার্ড প্রদর্শন করে মানববন্ধন করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা সন্তুও মানববন্ধনে অংশ নেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, নিরূপা দেওয়ান, প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না করলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই মানববন্ধন পার্বত্য তিন জেলার প্রায় ৩০০ বর্গকিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন এলাকায় পালিত হয়েছে।
এদিকে আজ সকাল ১০টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) ব্যানারে বান্দরবানের ডলুপাড়া থেকে চিম্বুক পর্যন্ত রাস্তার একপাশে ঘণ্টাব্যাপী বিশাল মানববন্ধন করে পাহাড়ি নারী-পুরুষরা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেএসএসের জেলা সাধারণ সম্পাদক ক্যবামং মারমা, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা হিলউইম্যান্স ফেডারেশনের সভানেত্রী ওয়াইচিং প্রু, অনন্যা নারী কল্যাণ সংস্থার পরিচালক ডনাই প্রু নেলী, পাহাড়ি বম সম্প্রদায়ের নেতা জিরকুম সাহা, এনজিও সংস্থার কর্মী অংচ মং মারমাসহ সংগঠনের নেতারা।
মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে জেএসএস জেলা সাধারণ সম্পাদক ক্যবামং মারমা বলেন, ‘শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের নামে কালক্ষেপণ করছে সরকার। পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের বিকল্প কিছু নেই। পাহাড়িদের অধিকার রক্ষায় পার্বত্য শান্তি চুক্তির দ্রুত পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’
অনন্যা নারী কল্যাণ সংস্থার পরিচালক ডনাই প্রু নেলী বলেছেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে এখনি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। পার্বত্য শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন দেখতে চায় পার্বত্যবাসী। পাহাড়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত বন্ধে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নসহ পাহাড়ের ভূমি জটিলতা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।