বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধকে মেনেই বিএনপিকে রাজনীতি করতে হবে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কখনোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন না, ভবিষ্যতেও হবেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বিএনপিকে এ দেশে রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্বীকার করেই করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়াই বিএনপির জন্য রাজনীতিতে ফিরে আসার বড় সুযোগ বলেও মন্তব্য করেন সৈয়দ আশরাফ। আজ সোমবার বিকেলে আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ২৮ মার্চ দলের জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেন দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা। বৈঠক শেষে সম্মেলনের প্রস্তুতির কথা জানান সৈয়দ আশরাফ।
এ সময় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা নিয়ে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খালেদা জিয়া কোনোদিনই মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক ছিলেন না এবং জীবনেও হবেন না। বাংলাদেশের সৃষ্টি তারা এখন পর্যন্ত মানে নাই। তাদের কাছে সাধের পাকিস্তানই এখনো পবিত্র স্থান। এ থেকে তারা এক ইঞ্চিও সরে আসে নাই।’
‘যেগুলো বাস্তব সত্য, সেই সত্যকে তারা যদি গ্রহণ না করে তাহলে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে যাবেন। বঙ্গবন্ধুকে মানতে হবে, মুক্তিযুদ্ধকে মানতে হবে, মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা শহীদ হয়েছেন তাঁদেরকে মানতে হবে। যদি না মানেন তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতি, এই জনপদ থেকে আপনি (খালেদা জিয়া) নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন।’
প্রধান বিচারপতির বাণী কোনো রায় নয় মন্তব্য করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, রাজনীতির মাঠে পরাজিত হয়েই বিএনপি প্রধান বিচারপতির বক্তব্য নিয়ে কথা বলছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামীতে নির্বাচন হবে, সংবিধান অনুযায়ী হবে। সেই নির্বাচনে আমরা আশা করি বিএনপি আর ভুল করবে না। এবার নিশ্চয়ই নির্বাচনে আসবে তারা বর্তমান সংবিধানের অধীনে। এটাই হবে তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তারা যতি আবারও নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে বিএনপি কিন্তু বাংলাদেশে আর রাজনৈতিক দল হিসেবে থাকবে না।’
জাতীয় পার্টির মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়ে সৈয়দ আশরাফকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সেটি দলটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। আর সোহেল তাজ আবারও রাজনীতি করতে চাইলে সে পথ খোলা আছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।