বিতর্কে বর্ণিল বিকেল
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/01/25/photo-1453739410.jpg)
বিষয়টি ছিল বেশ কাঠখোট্টা, কিছুটা কঠিনও। কিন্তু কঠিন সেই বিষয়- ‘বিজ্ঞান ও ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব’-কে সহজ আর প্রাণবন্ত করে যুক্তি সৌকর্য্যে আলোকিত করে তোলেন তরুণ বিতার্কিকরা।
আজ সোমবার বিকেলে রাঙামাটি সরকারি কলেজ ও রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের তরুণ দুদল বিতার্কিক রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় যুক্তির পসরা সাজিয়ে বসেন যেন। যুক্তি-পাল্টাযুক্তি আর যুক্তিখণ্ডনের ঘণ্টাব্যাপী লড়াই শেষে বিচারকরা যখন ফলাফল ঘোষণা করেন, তখন একপাশে উল্লাস আর অন্যপাশে পিনপতন নীরবতা। মাত্র দুদিনের ব্যবধানে আবারও রাঙামাটি সরকারি কলেজ বিতর্ক দলের কাছে পরাজিত সরকারি মহিলা কলেজ দলের বিতার্কিকরা- যেন এক একজন হতাশার প্রতিচ্ছবি।
বিজয়ী রাঙামাটি সরকারি কলেজ দলের বিতার্কিকরা হলেন দলনেতা তুষার ধর, ত্রয়া চাকমা ও শারমীন আক্তার। আর রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজ দলের বিতার্কিকরা হলেন দলনেতা সীমা ত্রিপুরা, তানিয়া আক্তার ও নার্গিস আক্তার। শ্রেষ্ঠ বক্তা হন রাঙামাটি সরকারি কলেজ দলের দলনেতা তুষার ধর।
শুধু কলেজ পর্যায়ের বিতর্কই নয়, স্কুল পর্যায়ের বিতর্কও আলো ছড়িয়েছে আজ। ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব’- এ বিষয়ে বড়দের পর বিতর্কের যুক্তির লড়াইয়ে নামে স্কুল পর্যায়ের বিতার্কিকরা।
ছয়টি স্কুলের বিতার্কিকরা দুটি দলে ভাগ হয়ে যুক্তিযুদ্ধ শুরু করে। এতে একপক্ষে ছিল লেকার্স পাবলিক স্কুল, রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয় বিতার্কিক আর অন্যপক্ষে ছিল মনোঘর আবাসিক বিদ্যালয়, রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও শহীদ আব্দুল আলী একাডেমি।
তুমুল লড়াই শেষে বিতর্কে বিজয়ী হয় রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, লেকার্স পাবলিক স্কুল আর শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিতার্কিকদের নিয়ে গঠিত দলটি। এ দলে বিতার্কিক ছিল লেকার্সের আবিদা তাবাসসুম আফ্রা, চৈতি ঘোষ, রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শামীম আবু তাহী, আরিফ বিল্লাহ এবং শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের জান্নাতুল ফেরদৌস ও তৌহিদুল ইসলাম। এই বিতর্কে শ্রেষ্ঠ বক্তা হন লেকার্স পাবলিক স্কুলের বিতার্কিক চৈতি ঘোষ।
বিতর্কে মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুজাদ্দেদ-ই-আলফেসানি একাডেমির শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী কমিশনার সাজিয়া আফরিন, শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান, আলফেসানি স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম।