রাষ্ট্রের উন্নয়নে জনগণকে কর দিতে হবে : মৎস্য প্রতিমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, রাষ্ট্রের উন্নয়নে জনগণকে ব্যাপক হারে কর দিতে হবে। অর্থনীতিতে রাজস্ব আহরণের অন্যতম উৎস্য হলো কর। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
আজ দুপুরে খুলনায় মংলা কাস্টমস হাউস মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০১৬ উপলক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সরকার দেশের শুল্ক আদায় কার্যক্রমকে আধুনিক ও গতিশীল করতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর প্রদানে করদাতাদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে হবে। আয়কর আইনকে আরো সহজ ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। ই-পেমেন্ট চালুর ফলে করদাতারা এখন অনলাইনে কর দিতে পারছেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগার জনগণের প্রদত্ত রাজস্বে সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আমাদের পরনির্ভরতা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। দেশের প্রতিটি নাগরিক যাতে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ ও উন্নয়নে অংশীদারত্ব অর্জনে সুযোগ পায় সে লক্ষ্যে সবাইকে কর প্রদানে আগ্রহী করে তুলতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ভোমরা স্থলবন্দরকে আরো গতিশীল করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের সঠিক পদক্ষেপের ফলে মংলা বন্দর আজ গতিশীল হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে এ অঞ্চলসহ মংলাবন্দর আরো গতিশীল হবে।’

মংলা কাস্টম হাউসের কমিশনার ড. মো. আল-আমিন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (করঃ আপিল ও অব্যাহতি) কালিপদ হালদার, খুলনা কর অঞ্চলের কর কমিশনার সুনীল কুমার সাহা, খুলনা কর অঞ্চলের (আপীল) কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায় এবং খুলনা চেম্বার আব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট কাজী আমিনুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কে এম অহিদুল আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট (আপিল) কমিশনারেট মো. মাহবুবুজ্জামান। এ ছাড়া সেমিনারে বিপুলসংখ্যক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।
আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ডিজিটাল কাস্টমস : ক্রমবর্ধমান সংযোগ’। দিবসটি পালন উপলক্ষে সকালে কাস্টমস অফিস প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিতে সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, খুলনা