গঠনতন্ত্রে কিছু পরিবর্তন আনতে পারে বিএনপি
দলের গঠনতন্ত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে পারে বিএনপি। বাড়ানো হতে পারে সহযোগী সংগঠনের সংখ্যা। পাশাপাশি বাদ দেওয়া হতে পারে একই ব্যক্তির একাধিক পদে থাকার সুযোগ। নতুন পদ সৃষ্টি করে সদস্যদের পদবিতেও আসতে পারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।
আগামী মার্চে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে এ ধরনের পরিবর্তনের ঘোষণা আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি এবং দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামের দুই সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আ স ম হান্নান শাহ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ওয়ান ম্যান, ওয়ান জব, ওয়ান পোস্ট। যাঁরা ঊর্ধ্বতন অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকবেন, তাঁরা নিম্নতম শাখাটিতে যাতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আঁকড়ে না থাকেন, এবার আমরা গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে এটাকে নিশ্চিত করতে চাই।’
জাতীয় কাউন্সিলের আগে এরই মধ্যে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে তৃণমূলের কাউন্সিল। সেখানে নির্ধারিত হবে জাতীয় কাউন্সিলের কাউন্সিলর। কেন্দ্র থেকে এরই মধ্যে প্রবীণ নেতাদের নিয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর এ উপদেষ্টাদের সহসভাপতির পদমর্যাদা দিয়ে সংশোধনী আনা হবে দলের গঠনতন্ত্রে।
আ স ম হান্নান শাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগে দেখেন, শখানেক তথাকথিত সংগঠন আছে। আমাদেরও এ রকম বহু সহযোগী সংগঠন দাবি করেন। প্রেসক্লাবে তারা মিছিল করেন, মিটিং করেন, কোনো সময় মানববন্ধন করেন, আলোচনা সভা করেন। তাই যারা নিবন্ধিত হতে চান আমাদের দলের সঙ্গে, তাদের গঠনতন্ত্র জমা দিতে হবে এ কাউন্সিলের আগে। যাতে এটাকেও আমরা মূল্যায়ন করে আমাদের সংখ্যা বাড়াতে পারি বা কমাতে পারি।’
এ ছাড়া কো-চেয়ারম্যানের পদ তৈরি করে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কো-চেয়ারম্যান করা এবং সাংগঠনিক মুখপাত্র হিসেবে মহাসচিবের দুটি পদ তৈরি করা হতে পারে। এ বিষয়ে হান্নান শাহ বলেন, ‘আমরা এখনো এ বিষয়ে ফরমাল কোনো আলোচনা করি নাই। আমি জানি না, বিএনপি কি দলের পদ-পদবির জন্য অন্য দলের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে? নাকি নিজের প্রয়োজনে সাংগঠনিকভাবে নিজেদের পুনর্গঠিত করবে?’
মহাসচিব পদে দুজন হতে পারে কি না—এ বিষয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘আমি এটাকে গুজব বলব না, তবে আলোচনায় নাই এটা বলব। বিভিন্ন দেশের রেফারেন্সে আমাদের কোনো কোনো নেতা পত্রিকার মাধ্যমে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেছেন, মনে হচ্ছে তাই। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে এটা আসে নাই।’
উল্লেখ্য, তিন বছর পর পর কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির কাউন্সিল। পঞ্চম কাউন্সিলের মতো ষষ্ঠ কাউন্সিলও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রেই করতে চায় দলটি।