দণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা বহালের বিষয়ে রায় আজ

সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা বহাল থাকবে কি না, তা জানা যাবে আজ বৃহস্পতিবার।
এ মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের করা আপিলের রায় দেওয়া হবে আজ। সে সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের করা ডেথ রেফারেন্সের বিষয়েও রায় দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে শুনানি শেষে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
ওই দিন আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর বোমা হামলার ঘটনায় আসামিদের সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।’
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলায় আনোয়ার চৌধুরী এবং সিলেট জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন।
ঘটনার দিন অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মুফতি হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর পর সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে মাঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের নাম অন্তর্ভুক্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়।
বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া মামলার অন্য দুই আসামি মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।
নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হলে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে। পাশাপাশি ২০০৯ সালে জেল আপিলও করা হয়। প্রায় সাত বছর পর গত ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।