আনোয়ার চৌধুরীর ওপর বোমা হামলার রায় ১১ ফেব্রুয়ারি

সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর বোমা হামলার ঘটনায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায়ের জন্য আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় আসামিদের সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করা হবে।’
২০০৪ সালের ২১মে সিলেটে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। এই হামলায় আনোয়ার চৌধুরী এবং সিলেট জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।
ঘটনার দিন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মুফতি হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে মাঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের নাম অর্ন্তভুক্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়।
বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।
নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় নথি হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন। প্রায় সাত বছর পর গত ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে এর ওপর শুনানি শুরু হয়। তিন কার্যদিবস শুনানির (পেপারবুক উপস্থাপন) পর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। কয়েক দিবস যুক্তিতর্ক শেষে আজ বুধবার রায়ের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন আদালত।