ইউপি নির্বাচন : খুলনায় মনোনয়ন নিয়ে আ. লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় দলীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী ছবিও ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ২০-২৫ জন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বটিয়াঘাটা উপজেলার কোনো ওয়ার্ড এবং ইউনিয়নে দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। কিন্তু দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদীর সুজা সমর্থিত লোকজন এ উপজেলায় রাতারাতি কমিটি করে নিজেদের পছন্দের লোকদের প্রার্থী করার চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে মঙ্গলবার উপজেলা কার্যালয়ে তৃণমূলের সভার আয়োজন করা হয়। সভা চলার সময় দলের জেলা সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদের পক্ষে তিন নম্বর গংগারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাদীউজ্জামান হাদী এবং চার নম্বর সুরখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম ফরিদ রানা প্রতিবাদ জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সংসদ সদস্য সুজার পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান খান আশরাফুল আলম, ভান্ডারকোর্ট ইউনিয়নের নেতা উবায়দুল্লাহ ও মিজানসহ অন্যরা তাঁদের ওপর হামলা চালান।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন বটিয়াঘাটা থানার ওসি মামুন অর রশিদ, কনস্টেবল সাইদুর রহমান ও জসিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা হাদীউজ্জামান হাদী, এস এম ফরিদ রানা, তুলশি দাস বিশ্বাস, নজরুল, শহীদ শেখ, খলিলুর রহমান, মিন্টু, মামুন, রবীন।
ওসি মামুন অর রশিদ জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে মতবিরোধের কারণে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ভাঙচুর হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল পর্যায়ের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।