বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদকে ফেরাতে সহায়তা করবেন জন কেরি
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ড পাওয়া পলাতক আসামি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। গত মাসে ওয়াশিংটন ডিসি সফর নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর উপস্থাপন করা প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে জন কেরি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৈঠকে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন আইন (সংশোধন), ২০১৫ ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড আইন (সংশোধন), ২০১৫-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ব্যাপারে সচিব বলেন, দুটি আইনই পুরোনো। আইন দুটিতে কিছু সংশোধন ও সংযোজন করে বাংলায় অনুবাদ করা হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী গত ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি ও ৩ থেকে ৭ মার্চ জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ২৮তম সেশনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন। আজ তিনি এ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত ও প্রতিবেদন দাখিল করেন বলে জানান সচিব।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মোট ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি কার্যকর হয় ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি।
এর আগেই ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা। পলাতক বাকি ছয়জন হলেন খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী, আবদুল মাজেদ ও মোসলেম উদ্দিন। আসামিরা সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।