ধামরাইয়ে র্যাবের চার মামলা দায়ের

ঢাকার ধামরাইয়ে সোনালী ব্যাংকের শাখায় ‘ডাকাতির চেষ্টা’র ঘটনায় আলাদা চারটি মামলা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ধামরাই থানায় মামলাগুলো করা হয়।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক জানান, গতকাল গভীর রাতে র্যাব-৪ এর ওয়ারেন্ট অফিসার বখতেয়ার বাদী হয়ে ওই ঘটনায় আটক পাঁচ ডাকাত সদস্যের নাম উল্লেখ করে অস্ত্র, মাদক, ডাকাতি চেষ্টা ও অপমৃত্যু আইনে আলাদা চারটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- লক্ষ্মীপুর জেলার মহাদেবপুর এলাকার সবুজ (৬২), চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার উত্তরপাড়া এলাকার বাদশা মিয়া (৩৫), মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার দক্ষিণ লস্করপুর এলাকার রিয়াজুল ইসলাম (৩৩), ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকার শিলা (২৮) এবং ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানার কদমতলী এলাকার রুমানা (২৫)।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন মাস আগে ধামরাই বাজার এলাকার রিয়াজ প্লাজার তৃতীয় তলায় নিজেদের পোশাক কারখানার কর্মজীবী পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নেয় ডাকাত দলের কয়েক সদস্য। এরপর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের ভাড়া বাসার দ্বিতীয় তলায় থাকা সোনালী ব্যাংকের ধামরাই শাখায় দ্বিতীয় তলার ছাদ ও তৃতীয় তলার মেঝে কেটে ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশের পরিকল্পনা করে।
গোপন সংবাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ওই বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ডাকাত সদস্য মাসুক র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে মাসুক নিহত হয়। পরে সেখান থেকে মাসুকের পরিবারের সদস্য পরিচয় দিয়ে অবস্থান করা বাকি পাঁচ ডাকাত সদস্য ও ভবনের মালিক হাজি রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিমসহ ছয়জনকে আটক করে র্যাব। মাসুকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও আটক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে এখনো কোনো মামলা হয়নি।