ইউপি নির্বাচন নিয়ে বাউফলে সংঘর্ষ, আহত ২০
পটুয়াখালীর বাউফলের ধূলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ধুলিয়া-কালিশুরী আলগী নদীর ঝাউতলা খেয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনিছুর রহমান, তাঁর ছেলে মান্না (২৫), ভাই নজরুল (৪০) ও তাঁর সমর্থক সাইমুন (২৩), তানজিল (২২) এবং বিএনপি-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল জব্বারের সমর্থক সাকিব (১৮), সমির (৩৬), টিপু (২৫), কামাল (২৫), সুমন (২৩) ও জয়ন্তকে (২২) কালিশুরীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল জব্বার অভিযোগ করে জানান, আজ দুপুরে তিনি ২০ থেকে ২৫ জন কর্মী সমর্থক নিয়ে প্রস্তাবকারী নুরুল ইসলাম মৃধাকে গাড়ি থেকে ঝাউতলা খেয়াঘাটে তাঁর বাড়িতে নামিয়ে দেন। এরপর সেখান থেকে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আনিছুর রহমান রব ও তাঁর ছেলে মান্নার নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জন কর্মী-সমর্থক তাঁদের ওপর ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তাঁর কর্মী সাকিব, সমির,টিপু, কামাল, সুমন ও জয়ন্তসহ আট থেকে ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এ সময় তাঁর ছোট ভাই মাসুদের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, তিনি ও তাঁর ছেলে মান্নাসহ ৩০ থেকে ৪০ জন কমী সমর্থক বাউফল থেকে ধুলিয়া যাচ্ছিলেন। ঝাউতলা খেয়াঘাট এলাকায় পৌঁছালে আবদুল জব্বারের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন কর্মী-সমর্থক তাঁদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে এবং তাঁকেসহ তাঁর ছেলে মান্না, চাচাতো ভাই নজরুল, সাইমুন, তানজিলকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এ সময় আবদুল জব্বারের সমর্থকরা রহিম নামের তাঁদের এক কর্মীকে ধরে নিয়ে যায়। হামলার সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আনিছুর রহমান জুয়েলের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পাভেলের একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।