প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে তিন মাদ্রাসা শিক্ষকের কারাদণ্ড
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় দাখিল পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করার দায়ে তিন মাদ্রাসা শিক্ষককে দুই বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মো. কামরুল হুদা এ আদেশ দেন।
কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মালিপুর নিজামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মোফাজ্জেল হোসেন, নলছিটি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. মাইনুল ইসলাম ও ফুলহরি মাদ্রাসার শিক্ষক নুরুল হক।
পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নলছিটি দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে গণিত প্রশ্নপত্র প্যাকেট খোলার পর পরই সেখানে উপস্থিত শিক্ষক মাওলানা মোফাজ্জেল হোসেনের সহায়তায় অপর দুই শিক্ষক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাইরে নিয়ে আসেন। ওই তিন শিক্ষক শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন মালিপুর নিজামিয়া মাদ্রাসার এক শিক্ষিকার ভাড়া বাসায় বসে উত্তর তৈরি করে পরীক্ষার হলে নকল সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. কামরুল হুদা একদল পুলিশ নিয়ে ওই বাসায় অভিযান চালান। এ সময় গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, বই এবং তৈরি করা উত্তরপত্রসহ তাঁদের হাতে-নাতে আটক করে থানা হাজতে নিয়ে যান। দুপুরে পরীক্ষা শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই তিন শিক্ষককে দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
নলছিটি থানার ওসি মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তিন শিক্ষককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
নলছিটি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব মুফতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন তাঁর মাদ্রাসার শিক্ষকের কারাদণ্ডের কথা স্বীকার করে জানান, তিনি কোনো প্রশ্ন বাইরে দেননি। পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা প্রশ্ন গণনার সময় এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।