পাওনা টাকা না পেয়ে সহকর্মীর ছেলেকে হত্যা
পাওনা টাকা না পেয়ে ক্ষোভে এক কিশোর শ্রমিক তার সহকর্মীর স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে হত্যা করেছে।
গাজীপুরের শ্রীপুরের বেতজুরি খালের পাড় থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ওই খাল থেকে নিহত স্কুলছাত্র শাহীনের (৮) লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। এরপর ওই এলাকা থেকেই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাপ্পু (১৭) নামের ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত শাহীন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ জয়দেবপুর এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে। সে শ্রীপুরের বেতজুরী এলাকার সুলতান উদ্দিন মেমোরিয়াল একাডেমির তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় এমদাদুল হক বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, শ্রীপুরের বেতজুড়ি গ্রামের আক্তার হোসেনের বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়ায় থাকেন এমদাদুল হক। তিনি স্থানীয় মাস্টারবাড়ি এলাকার মেজর মার্কেটের আলিফ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে এবং তাঁর স্ত্রী স্থানীয় অস্ট্রেলিয়া গার্মেন্ট কারখানায় চাকরি করেন।
এমদাদের সঙ্গে একই ওয়ার্কশপে কাজ করত পাপ্পু। সেখান থেকে পাপ্পু অন্য কারখানায় চাকরি নিয়ে চলে যায়। কিন্তু পাপ্পুর দুই মাসের বেতন বকেয়া ছিল। ওয়ার্কশপের মালিক এই বকেয়া বেতন এমদাদের কাছে দেয়। কিন্তু এমদাদ সেই টাকা না দেওয়ায় এ নিয়ে পাপ্পুর সঙ্গে বিরোধ চলছিল।
ওসি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাপ্পু শিশু শাহীনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, এই বকেয়া টাকা না দেওয়ায় তাঁর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষোভেই সে গতকাল বুধবার বিকেলে চকলেট দেওয়ার কথা বলে শাহীনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বেতজুরি খালের পাড়ে নিয়ে শাহীনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে খালের পানিতে ফেলে দিয়ে চলে যায়।
ওসি বলেন, ‘আজ সকালে স্থানীয় কয়েকজন একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’