আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সংঘর্ষে ছাত্রনেতা নিহত
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র সংঘাতে ছাত্রলীগ নেতা বাঁধন খন্দকার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরো অন্তত পাঁচজন।
পুলিশ বলছে, মেলার দোকান ভাড়ার টাকা ভাগাভাগি এবং আরেকটি বাজারের ইজারা দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ বুধবার দুপুর ১টার দিকে সংঘাতে লিপ্ত হয়।
নিহত বাঁধন খন্দকার মুলাডুলি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের স্টেশনপাড়ার বাবুল খন্দকারের ছেলে এবং মুলাডুলি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন খন্দকারের ভাতিজা।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) শাহনুর আলম পাটোয়ারী এনটিভি অনলাইনকে জানান, হিন্দুদের ধর্মীয় এক উৎসবকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার থেকে মুলাডুলি স্টেশন এলাকায় ‘সান্ধ্য পুকুর মেলা’ শুরু হয়। তাতে বিভিন্ন দোকানপাটের পাশাপাশি জুয়ার আসরও বসে।
বুধবার সকালে যুবলীগের নেতা মিলন খন্দকারের সমর্থকরা মেলার দখল নিতে ওই এলাকায় গেলে মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিঠুর সমর্থকরা তাদের বাধা দেয়। শুরু হয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ।
দুই পক্ষ ১০-১৫টি গুলি ছোড়ে। এতে বাঁধন খন্দকার গুলিবিদ্ধ হন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ২টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আহত ও গুলিবিদ্ধ বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাঁধনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, মুলাডুলি হাটের ইজারা দখল নিয়ে কামাল হোসেন মিঠু ও মিলন খন্দকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আজকের সংঘাতে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
পুলিশ কর্মকর্তা শাহনুর আলম পাটোয়ারী এনটিভি অনলাইনকে জানান, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মিরাজ উদ্দিন আহমেদসহ পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।