ঈশ্বরদীতে আ. লীগের দুই পক্ষের মধ্যে গুলি, ভাঙচুর
পাবনার ঈশ্বরদীতে আজ রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে আবারও গুলি, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ব্যাংকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়।
এই ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন গুলিবিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা মালিথা ও সাইফুল ইসলাম খোকন। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৫টার দিকে ঈশ্বরদী বাজারের ১ নম্বর গেটের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান মিন্টুর নেতৃত্বে বের হওয়া মোটরসাইকেল বহরে অতর্কিত বোমা হামলা করা হয়। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু সমর্থিত একটি পক্ষ এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান মিন্টু। হামলায় অন্তত ২০টি গুলি ও ২২টি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। পুলিশ এসে ১০টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
পুলিশ জানায়, দুপুরে পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে এবং যুবলীগের সভাপতি সালাম খান ও ছাত্রলীগ সভাপতি যোবায়ের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের বিপক্ষে আলোবাগ মোড় থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারমম্যান মোখলেছুর রহমান মিন্টুর নেতৃত্বে শহরে মোটরসাইকেল বহর বের করা হয়। বহরটি বাজার অতিক্রম করার সময় ১ নম্বর গেটের সামনে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু সমর্থিত একটি পক্ষ হামলা করে। এ সময় তারা অন্তত ২০টি গুলি ছোঁড়ে ও ২২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অন্তত ১০টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। প্রগতি চাইনিজ রেস্তোরাঁ, প্রাইম ব্যাংক ও রাস্তার দুই পাশের বেশ কিছু দোকান ভাঙচুর করা হয়। ককটেলের ধোঁয়া ও গুলির শব্দে সাধারণ মানুষ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে যে যার মতো নিরাপদে সরে যায়।
এই ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন গুলিবিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা মালিথা ও সাইফুল ইসলাম খোকন। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে কেউ মামলা করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।