স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে অনশন
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে আলুফা খাতুন সাথী (১৮) নামের এক তরুণী অনশন করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত উপজেলার বস্তুল গ্রামের মৃত দুদু মিঞার ছেলে সেলিমের বাড়িতে অনশন করে। পরে সাথীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
সাথী বস্তুল গ্রামের পাশের কাজিপুর গ্রামের ইউনুছ আলীর মেয়ে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, নবম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সেলিমের বাবার বাড়ি থেকে পড়াশোনা করে সাথী। এসএসসি পাস করার পর সাথী ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সিলেট সরকারি পলিটেকনিক কলেজে সুযোগ পেলে পারিবারিকভাবে তাঁকে সেলিমের সঙ্গে সিলেটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেই সুযোগে সেলিম সাথীকে সিলেট নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঢাকার যাত্রাবাড়ী বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইসলামী শরীয়তসম্মতভাবে তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে দুজনেই স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দুজনার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে। তবে সেলিম ও তাঁর পরিবার বিয়ের কথা গোপন রাখতে সাথীকে প্রভাবিত করে। এর ফাঁকে হঠাৎ সাথী জানতে পারে সেলিমের পাশের পেঙ্গুয়ারী গ্রামে বিয়ে ঠিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সাথী স্ত্রীর মর্যাদা আদায়ের দাবিতে সেলিমের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন। রাত ১২টা পর্যন্ত চলে অনশন। রাত ১২টার পর সেলিমের পরিবারের লোকজন সাথীকে শারীরিক ও মানসিকভাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
নিরুপায় সাথী শুক্রবার তাড়াশ উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভানেত্রী মীর হোসনে আরার (ডেইজি মিলন) কাছে যান। তিনি সাথীকে আইনগত সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
সাথী জানান, স্ত্রীর অধিকার ফিরে না পেলে সেলিমের বাড়িতেই তিনি আত্মহত্যা করবেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে সেলিম পলাতক রয়েছেন। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আমিনুল ইসলাম জানান, মেয়েটি মামলা করলে তাকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।