বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে (আঙুলের ছাপ) মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুল জারি করেছেন আদালত।
আজ সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম শাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, টেলিকম-সচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালক এবং মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, এয়ারটেল, সিটিসেল, টেলিটককে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ৯ মার্চ হাইকোর্টে এ-সংক্রান্ত রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হুমায়ুন কবীর পল্লব। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মুকতাদির রহমান।
গত বছরের ২১ অক্টোবর বায়োমেট্রিক পদ্ধতির পরীক্ষামূলক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। পরে ১৬ ডিসেম্বর এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে এই নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
আইনজীবীসহ নাগরিক সমাজের অনেকের মতে, বায়োমেট্রিক তথ্য সরকার নিতে পারে। এতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এখানে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির এ তথ্য নেওয়া বা আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করা বে-আইনি। এতে ব্যক্তিগত অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেও অভিযোগ নাগরিক সমাজের।
পরে অবশ্য এ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছিলেন, মোবাইল ফোন অপারেটররা আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করবে না। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ তথ্য সরকারের কাছেই থাকবে।