পূর্বধলায় ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ১, বাড়িঘর বিধ্বস্ত
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ওপর দিয়ে গতকাল শনিবার মধ্যরাতে বয়ে যাওয়া প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে প্রায় দুই শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘরের নিচে চাপা পড়ে এক ব্যক্তি নিহিত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১০ জন।
নিহত পঞ্চাশোর্ধ্ব আবদুর রশিদ উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এ ছাড়া ভিতরগাঁও গ্রামের আবদুস সাত্তার (৬০), হেলেনা খাতুন (৫০), বুধি গ্রামের জামাল উদ্দিন, লেটিরকান্দা গ্রামের সবুজ মিয়া (৬৫), জটিয়াবর গ্রামের আব্দুস সালাম (৩২), ভিকুনিয়া গ্রামের হাশেম উদ্দিনসহ ১০ জন আহত হন। আহত আবদুস সাত্তারকে (৬০) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং একই গ্রামের হেলেনা খাতুনকে (৫০) পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা সদর ইউনিয়নের বারদার, ভিতরগাঁও, জুগলী, জারিয়া ইউনিয়নের বাড়হা, তুতিরপাড়া, শালদিঘা, গণকপাড়া মৌদাম, আগিয়া ইউনিয়নের বুধি, জটিয়াবর, খারছাইল, হোগলা ইউনিয়নের ভিকুনিয়া, পাগলাকান্দা, শিবপুর, চিলাইগাতী, বিশ্বনাথপুর, লড়খড়ি, সেহলা, ঘাগড়া ইউনিয়নের মেঘশিমুল, সানকিডোয়ারী, সিংড়াজান, লেটিরকান্দা ও ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের দিওপাড়া গ্রামের ওপর দিয়ে শনিবার গভীর রাতে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়।
ঝড়ে প্রায় দুই শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি, বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অসংখ্য গাছপালা বিধ্বস্ত হয়। পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের ভিতরগাঁও গ্রামের একটি জামে মসজিদ, জুগলী গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জারিয়া ইউনিয়নের মৌদাম গ্রামে একটি স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা ধসে পড়ে। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে পূর্বধলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম সুজন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর হোসেন আজ রোববার দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।
ইউএনও মোহাম্মদ নূর হোসেন জানান, নিহতের পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পাঁচ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।