দুই ঘণ্টা স্তব্ধ রাঙামাটি শহর
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/24/photo-1458831960.jpg)
পাহাড়ে সন্ত্রাস বন্ধের জন্য পাঁচ দফা দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে আজ দুই ঘণ্টা স্তব্ধ ছিল রাঙামাটি শহর। পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর ‘ফ্রি স্টাইল চাঁদাবাজি’ বন্ধ, আসন্ন ইউপি নির্বাচনের আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে চিরুনি অভিযানসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই সমাবেশ করেছে ‘সচেতন পার্বত্য জনগণ’ ব্যানারে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার হাজারো মানুষ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই পাঁচ দফা দাবি নিয়ে পৌর চত্বরে জমায়েত হয় শহরবাসী। শহরের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ব্যবসায়ী, গাড়ি বন্ধ করে পরিবহন শ্রমিক, বেসরকারি বিভিন্ন অফিস বন্ধ করে চাকরিজীবীরা এই বিক্ষোভে যোগ দেয়।
সমাবেশ চলাকালে কার্যত অচল হয়ে যায় পুরো শহর। সব ধরনের দোকানপাট এবং যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দুইঘণ্টাব্যাপী সমাবেশে বিপুল মানুষ অংশ নেয়।
সকাল ১০টায় বিক্ষোভ মিছিলটি পৌর চত্বর থেকে শুরু হয়ে নিউমার্কেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি চিংকিউ রোয়াজার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, কাপ্তাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অংসুচাইন চৌধুরী, রিজার্ভবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, বনরূপা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাপস দে, অটোরিকশাচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, বাঙালি ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. ইকবাল প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘পাহাড়ে শান্তির জন্য পার্বত্য শান্তিচুক্তি হয়েছে, অবৈধ অস্ত্রগুলোও জমা নেওয়া হয়েছে, তবে এখনো কেন হত্যা, খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি চলছে, এখন আবার অবৈধ অস্ত্র কোথা থেক এলো ? আজ থেকে আর কেউ চাঁদা দিবেন না, আমরা দেখতে চাই সন্ত্রাসীদের শক্তি বেশি নাকি জনগণের।’
পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন ও গুমের জন্য আঞ্চলিক দলগুলোকে দায়ী করে এবং তাদের সতর্ক করে দিয়ে বক্তারা বলেন, ‘আপনারা যদি ভেবে থাকেন, অস্ত্র দিয়ে পাহাড়ের সাধারণ মানুষকে চিরকাল জিম্মি করে রাখবেন, তবে ভুল করবেন। এখন থেকে আঘাত এলেই পাল্টা আঘাত করা হবে।’ অবিলম্বে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে দ্রুত সাঁড়াশি অভিযান চালানোর জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান বক্তারা।