বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গ্রাম পুলিশকে হত্যা
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দিতে ইদ্রিস আলী নামের এক গ্রাম পুলিশকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে একটি জামগাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ইদ্রিসের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে ভাইটকান্দি ইউনিয়নের পরাজিত মেম্বার পদপ্রার্থী মজিদের লোকজনই ইদ্রিস আলীকে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় মজিদের ভাই শাহজাহানসহ (৪০) চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক অন্য ব্যক্তিরা হলেন মাহবুব (২২) মাহমুদুল (২৪) ও সুরুজ আলী (২৫)।
নিহত ইদ্রিসের ছেলে আশিকুলের অভিযোগ, মেম্বার পদপ্রার্থী মজিদকে নির্বাচনে সহায়তা না করায় তাঁর লোকজন তাঁর বাবাকে ডেকে নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে। তিনি আরো জানান, নির্বাচনের পরদিন তার বাবা ইদ্রিস আলী কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে ফুলপুর থানায় একটি তালিকা প্রদান করেন। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার বিকেলে ফুলপুর পুলিশকে ফোন করেও বিষয়টি অবগত করেন।
আশিকুল আরো জানান, অভিযোগ করার পর পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মজিদ ও তার সমর্থকরা ইদ্রিস আলীকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশেই একটি গাছে ঝুলিয়ে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ইদ্রিস আলীর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফুলপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউল জানান, নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে থানা সদরে ফেরার পথে পরাজিত মেম্বার মজিদ ও তার সমর্থকরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশ পরাজিত মেম্বার মজিদসহ ৬০ থেকে ৭০ জনের নামে একটি মামলা করে। এ জন্য মজিদ ও তার-সমর্থকরা গ্রামপুলিশ ইদ্রিস আলীকে দায়ী করে ও তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে মারতে চাইলে এলাকার লোকজন বাধার মুখে তারা ফিরে যায়। পরে গতকাল রাতে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। ওই মেম্বার পদপ্রার্থী ওই ইউনিয়নের নারিকেল কেন্দ্রে ফেল করেন।
নিহত ব্যক্তির লাশ ফুলপুর থানায় আছে। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এসআই।