পাবনার চাটমোহরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জমজ দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৭ মে) উপজেলার উথুলি খামারপাড়া গ্রাম এ ঘটনা ঘটে। 

অভিযুক্ত আলিফ আয়ামান পায়েল চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি। সে পৌর সদরের আরাজি উথুলী খামারপাড়া মহল্লার রফিকুল ইসলামের ছেলে। আহত দুই বোন হলেন মিম (২০) ও লাম (২০)। তারা একই রেজাউল করিম রিজুর মেয়ে। এ ঘটনায় চাটমোহর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত দুই বোনের বাবা রেজাউল করিম। 

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার দিন বাড়ির পাশে কদম গাছের ডাল কাটছিলেন ছাত্রলীগনেতা পায়েল। এ সময় প্রতিবেশি রেজাউল করিমের মেয়ে লাম তাকে বলে, গাছ কাটার সময় তাদের কলা গাছ যেন নষ্ট না হয়। 

এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা পায়েল হাতুড়ি দিয়ে লামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় লামের জমজ বোন মিম এগিয়েি এলে তাকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে পায়েল ও তার বাবা-মা। পরে তাদের চিৎকার শুনে দুই বোনের পরিবারের লোকজন গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি আলিফ ইয়ামান পায়েল বলেন, ‘আমার মায়ের সঙ্গে ওরা দুই বোন মারামারি করছিল। আমি সেখানে তাদের ঠেকাতে গিয়েছিলাম। আমি তাদেরকে মারিনি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য অহেতুক অভিযোগ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডের জায়গা ছাত্রলীগে নেই। যদি সে দোষী সাব্যস্ত হয়, আমি তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাই। যেহেতু ছাত্রলীগের কমিটি জেলা ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে। সে কারণে জেলা ছাত্রলীগ এই বিষয়টি দেখবে।’

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমি জানি না। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে এবং আমরা তদন্ত করে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।’

ওসি সেলিম রেজা বলেন, আমরা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।