খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হত্যায় মদদের মামলা

হত্যায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শমসের মোবিন চৌধুরী ও অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ।
মামলার আবেদনে বাদী বলেন, খালেদা জিয়ার নির্দেশে চলা অবরোধ-হরতালে গত ৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪২ জন লোক নিহত হয়। এ সময়ে সরকারের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বাদীপক্ষের বক্তব্য শুনে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত থেকে বের হয়ে এ বি সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে জঙ্গিবাদ, নাশকতা ও বোমাবাজির বিরুদ্ধে তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন। স্বাধীন দেশের একজন নাগরিক হিসেবে পেট্রলবোমা মেরে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রওশন আরা শিকদার বলেন, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সহিংসতায় ৪২ জন নিহত হয়। এসব হত্যা সংগঠনে ‘গডফাদার’ হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন খালেদা জিয়া। তাঁকে সহযোগিতা করেছেন অন্য তিনজন। এ অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৪ ও ১০৯ ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এ বি সিদ্দিক একজন মামলাবাজ। তিনি সিএমএম কোর্টে বহু মামলা করেছেন। আজ তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এক নম্বর, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে দুই, শমসের মোবিন চৌধুরীকে তিন ও অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদকে চার নম্বর আসামি করে মামলা করেছেন।
সানাউল্লাহ মিয়া আরো বলেন, ২৫ নম্বর আদালতে মামলাটি করা হয়েছে। এতে চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার বাসায় এমনিতেই বিভিন্ন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরই মধ্যে মড়ার ওপর খাড়ার ঘাঁ হিসেবে মামলাটি দেওয়া হয়েছে। এটা খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের পাঁয়তারা।