ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ সমাবেশ, অভিজিৎ হত্যার বিচার দাবি
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/03/22/photo-1427018540.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে সমাবেশ করে লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাকস্বাধীনতার পক্ষের কর্মীরা। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বিকেলে ডুপন্ট সার্কেলে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তাঁরা এ দাবি জানান।
বাংলাদেশি-আমেরিকান মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার বিষয়ক সংগঠন দৃষ্টিপাত ডিসির মুখপাত্র নাদিয়া আফরিন আলজাজিরাকে বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই আমরা ধর্মনিরপেক্ষ লেখকদের ওপর হামলার ঘটনা দেখছি। আমাদের অবস্থান এর বিরুদ্ধে এবং এসব হামলার বিচার দাবি করছি।’
এ ছাড়া ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক সংগঠন ‘সাংবাদিক রক্ষা কমিটি’ এক বিবৃতিতে অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার নিজের প্রতিক্রিয়ায় অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায় বলেছিলেন, তদন্তের অগ্রগতিতে তিনি সন্তুষ্ট নন।
অজয় রায় বলেন, ‘তদন্তের অগ্রগতি খুবই ধীর এবং আমি আশঙ্কা করছি, বাংলাদেশে এ রকম অন্য সব হত্যাকাণ্ডের মতো কোনো ফলাফল বের হওয়ার আগে এই ঘটনাও ধামাচাপা পড়ে যাবে।’
আলজাজিরা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ধীরগতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তারা বলছে, বেশকিছু নতুন তথ্য তারা পেয়েছে, সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেছেন, ‘ধর্মের নামে উগ্র জঙ্গিবাদীরা এ ঘটনা (অভিজিৎ রায় হত্যা) ঘটিয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তবে শেষ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সামান্য সময় লাগতে পারে।’
এর মধ্যে অভিজিৎ হত্যা মামলা তদন্তে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যুরোর (এফবিআই) সদস্যদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তাঁরা এর আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার শফিউর রহমান ফারাবী অভিজিৎ রায়কে হত্যার ঘটনা অস্বীকার করেলও তাঁর ওপর হামলায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
অভিজিৎ রায়ের পরিবার জানিয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষ ও মানবতাবাদী আদর্শের প্রচার এবং ধর্মের অসহিষ্ণুতা নিয়ে মুক্তমনা নামে ব্লগে লেখালেখির জন্য মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফরের সময় বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে অভিজিৎ রায় ও তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার ওপর হামলা চালানো হয়। চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন বন্যা।