গৌরীপুর ও তারাকান্দায় জমে উঠেছে নির্বাচন
ময়মনসিংহের গোরীপুর ও তারাকান্দা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ মার্চ। চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদপ্রার্থীরা বিরামহীন ভোটারদের মন জয় করতে দ্বারে দ্বারে গণসংযোগ করছেন। দলীয় প্রতীকের নির্বাচনে সর্বত্র উৎসাহ বিরাজ করছে। পোস্টারের পোস্টারে ছেয়ে গেছে সর্বত্র। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ গণসংযোগ চালাতে পেরে খুশী প্রার্থীরা। তবে ভোট কেনা ও হয়রানির অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ রয়েছে প্রার্থীদের।
গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়রে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম। দলীয়ভাবে পদহীন হলেও এখানে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন মো. জায়েদুর রহমান। এ ছাড়া বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্রসহ আরো চারজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রয়েছেন। সব প্রার্থীই বিরামহীন গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। গণসংযোগে পিছিয়ে নেই সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থীরাও।
ভোটাররা অভিমত, তারা একজন সৎ ও উন্নয়ন মনস্ক জনবান্ধব প্রার্থী নির্বাচন করতে চান। যিনি সন্ত্রাস করবেন না, জনগণের জন্য উন্নয়ন কাজ করবেন তাঁকেই তাঁরা ভোট দেবেন।
বিএনপির চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জায়েদুর রহমানের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানি করছে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি প্রার্থী আড়াই কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করে প্রকাশ্যে ভোট কিনছেন। জনগণ উন্নয়ন চাইলে আমাকেই নির্বাচন করবেন।
শহিদুল ইসলামের আরো অভিযোগ, বিএনপি প্রার্থী প্রকাশ্যে ভোটারদের নগদ টাকা, রড, সিমেন্ট, ঢেউটিন, টিউবয়েল দিচ্ছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। প্রশানসকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
‘নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বিএনপির প্রার্থীকে আগেই এখনি চেয়ারম্যান বলে সম্বোধন করে যাচ্ছেন। থানার ওসিকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে কিনে ফেলেছেন। ওসি এসে বিএনপির অফিসে বসে থাকেন’, যোগ করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী।
এ বিষয়ে বিএনপির প্রার্থী জায়েদুর রহমান বলেন, ‘সব আওয়ামী লীগের কূটকৌশল আর অপপ্রচার।’
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকতার মোর্শেদ বলেন, সব অভিযোগ বানোয়াট আর ভিত্তিহীন। নির্বাচনে সব প্রার্থীকেই সমান মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। কাউকে ফেভার করার কোনো সুযোগ নেই।
গৌরীপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৫৩ জন এবং তারাকান্দা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৬২ জন চেয়ারম্যান পদপ্রাথী নির্বাচন করছেন। নির্বাচনী এলাকায় পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় রয়েছে।