পঞ্চগড়ে মা-বাবাকে হত্যার ঘটনায় মামলা
নেশার টাকা না পেয়ে পঞ্চগড় জেলা শহরে মা-বাবাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মঞ্জুরুল হাসান শান্তকে (৩৫) আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে শান্তর বড় ভাই আক্তারুজ্জামান সাগর বাদী হয়ে পঞ্চগড় থানায় মামলাটি করেন।
এ ছাড়া সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বাবুল ইসলাম বাদী হয়ে শান্তর নামে আরেকটি মামলা করেছেন।
লাশ ময়নাতদন্ত শেষে রাতেই তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাঁদের লাশ দাফন করা হয়।
গতকাল দুপুরে নেশার টাকা চেয়ে না পেয়ে মা-বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে শান্ত। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে শান্ত তাঁদেরও কুপিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, গতকাল দুপুরে মিজানুর রহমান (৬৫) ও তাঁর স্ত্রী সুলতানা বেগম (৫০) খেতে বসেছিলেন। এ সময় ছেলে শান্ত নেশার টাকা না পেয়ে তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। ধস্তাধস্তিতে শান্ত নিজেও আহত হয়।
ঘটনাটি থানার পেছনে হওয়ায় লোকজনের চিৎকার শুনে উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এনামুল হক, থানার গাড়িচালক কনস্টেবল মাহবুবের স্ত্রী নাছিমা বেগম ওই বাসায় গেলে শান্ত তাঁদেরও কুপিয়ে জখম করে।
ওসি আরো জানান, পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে শান্তকে আটক করে। আহতদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মিজানুর ও তাঁর স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। শান্ত পুলিশের হেফাজতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এলাকাবাসী জানায়, শান্ত পঞ্চগড় সুগার মিলের ক্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট (সিডিএ) হিসেবে কাজ করে। বেশ কিছুদিন ধরে সে মানসিক রোগে ভুগছিল। শান্ত এক ছেলের জনক।