ইনুই পেয়েছেন মশাল

হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতার নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) হাতে থাকল প্রতীক মশাল। আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনরা আবু হাফিজ এ তথ্য জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ বলেন, ‘জাসদ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাসানুল হক ইনু পাবে মশাল প্রতীক-এটাই সিদ্ধান্ত। আমাদের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত রোববারের মধ্যে দলও জানতে পারবে।’
জাতীয় সম্মেলনের পর বিভক্ত হাসানুল হক ইনু ও মঈনুদ্দীন খান বাদলের নেতৃত্বে জাসদের দুই পক্ষ দলের প্রতীক ‘মশাল’ নিয়ে নির্বাচনের কাছে দাবি জানায়।
দু্ই পক্ষের শুনানির এক সপ্তাহ পর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন ওই সিদ্ধান্ত দেয়।
বুধবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ চার নির্বাচন কমিশনারকে নিয়েও বৈঠক করেন।
পরে দুপুরে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাসদ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসছে। আজ-কালের মধ্যে আপনাদের জানাব।’
বুধবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় ছাড়ার আগে নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী বলেন, ‘আমরা চার নির্বাচন কমিশনারই মতামত দিয়েছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
অপর নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ জানান, চার নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে হাসানুল হক ইনুর কাছে মশাল থাকছে।
অবশ্য অনানুষ্ঠানিকভাবে ইনু নেতৃত্বাধীন জাসদ মশাল প্রতীক ব্যবহার করে আসছে বিভক্তির পর থেকেই। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে ইনু-শিরীনের প্রত্যয়ন পাওয়া প্রার্থীরাই মশাল প্রতীক পায়।
নির্বাচন কমিশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ, জাবেদ আলী ও আবু হাফিজ মশাল প্রতীক ইনুকে দেওয়ার পক্ষে সম্মতি দিয়েছেন।
বর্তমানে জাতীয় সংসদে জাসদের ছয়জন সদস্য আছেন।
একপক্ষের ইনু ও শিরীন উভয়ই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের হয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছে। অপর পক্ষের বাদলও নৌকা নিয়েই নির্বাচিত হয়েছেন। তবে নাজমুল হক প্রধান ও রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে নির্বাচিত হন। এ অংশে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য লুৎফা তাহেরও আছেন।
নির্বাচন কমিশন ইনুর পক্ষে সিদ্ধান্ত দিলে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন বাদল। এ অংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেছেন, ‘সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে না এলে পরবর্তী করণীয় নিয়ে কমিটি বসবে।’
ইনু নেতৃত্বাধীন জাসদের এক নেতা বলেন, ‘ঐক্যের পথ খোলা। যারা কাউন্সিল থেকে বেরিয়ে গেছেন, তাঁরা এলে সম্মানজনক পদেই রাখা হবে।’
দল থেকে বহিষ্কারের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় সংসদ সদস্য পদ নিয়ে জটিলতা এড়াতে এক হওয়ার পথও খোলা রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।