১৭ এপ্রিলের ঘোষণাপত্রই সংবিধানের আইনগত ভিত্তি : সৈয়দ আশরাফ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রই হচ্ছে বর্তমান সংবিধানের আইনগত ভিত্তি।’
আজ রোববার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে আয়োজিত জনসভায় এ কথা বলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। মুজিবনগর উপজেলার ঐতিহাসিক আম্রকাননের শেখ হাসিনা মঞ্চে এ জনসভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এ জায়গাতেই, এ দিনই ঘোষণা করা হয়। এ স্বাধীনতার ঘোষণা হলো আমাদের সংবিধানের মূল অধ্যায়। ওই ঘোষণাপত্রই আমাদের সংবিধানের শুরু। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সংবিধান এর আদলে হয়েছিল। এত বড় একটা ঘোষণা আমাদের জীবনে এসেছে, বাঙালি হিসেবে আমরা গর্বিত।’
বিএনপি-জামায়াত জোট কখনো মুজিবনগর দিবস মানে না অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন বলেছেন, ‘তাঁদের মুখে দেশপ্রেমের কথা মানায় না। যারা দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে এ দেশের সূর্যসন্তানদের হত্যা করার কাজে সহযোগিতা করেছিল তারা আজ দেশপ্রেমের কথা বলে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘জাতির জনককে হত্যা করার পর যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল সেই পাকিস্তানি তাবেদার সরকারগুলোই বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দেয়।’
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ পতাকা উত্তোলন করে কর্মসূচির সূচনা করেন। সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব-উল আলম হানিফ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু জাতীয় পতাকা ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলন শেষে মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি সদস্যসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন। কুচকাওয়াজ শেষে আনসার ও ভিডিপি সদস্য ‘হে তারুণ তুমি দাঁড়াও’ শীর্ষক গণসঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
পরে আম্রকাননে আয়োজিত হয় জনসভা। অনুষ্ঠানের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।