ঝিনাইদহে আ.লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ, চেয়ার ভাঙচুর
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/03/25/photo-1427288084.jpg)
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের ওয়াজির আলী হাইস্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ সকাল ১০টার দিকে সম্মেলনস্থলে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে মঞ্চের সামনের জায়গা দখল ও চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তাঁরা লাঠিসোটা নিয়ে পরস্পরকে ধাওয়া করে। এ সময় মঞ্চের সামনে থাকা শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর এবং বেশ কিছু বিলবোর্ড ও ব্যানারও ছিঁড়ে ফেলেন উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হালকা লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে পাঁচজন আহত হন।
এ ঘটনায় সম্মেলনস্থল ও এর বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কিছু সময় পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। মাঠে বসা নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান জানান, মাঠ দখল নিয়ে দুই দলের যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল, পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এতে কাউকে আটক করা হয়নি।
সংঘর্ষের পর বেলা সাড়ে ১২টার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সম্মেলন শুরু হয়। জাতীয় পতাকা ও কবুতর উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরেক যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ সাইফুজ্জামান শিখর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, পেট্রল দিয়ে মানুষ পোড়ানো বা বোমা মেরে মানুষ হত্যা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়ে গেছে। আর বিএনপির নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ নিখোঁজের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে জানা যাবে তিনি কোথায় আছেন।
সম্মেলনে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার, সদর পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু। সম্মেলনের শুরুতে ত্রিবার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান।
প্রায় ১০ বছর পর হওয়া এই সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে অন্তত ১০ হাজার নেতা-কর্মী যোগ দেন। তাঁরা ঢাক-ঢোল বাজিয়ে নানা রঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে হাজির হন। জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক সাজানো হয় দলীয় ও জাতীয় পতাকা দিয়ে। শহরের মোড়ে মোড়ে তোরণও তৈরি করা হয়েছে।
প্রথম অধিবেশন শেষে দুপুর ৩টায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় স্থানীয় পৌর কমিউনিটি হলে। সেখানে দলীয় ২৩৫ জন কাউন্সিলর অংশ নেন।