কালিয়াকৈরে এটিএম বুথের টাকা ছিনতাই, ১০ জন আটক
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ফার্স্টট্র্যাক এটিএম বুথের এক কোটি ৮৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূল পরিকল্পনারী রুবেলসহ ১০ জনকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ নয় লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ বুধবার র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাবের মিডিয়া অ্যান্ড লিগ্যাল উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
মুফতি মাহমুদ খান জানান, গাজীপুর ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। কালিয়াকৈরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সিসিটিভির ক্যামেরার ছবি দেখে কয়েকজনের ছবি শনাক্ত করা হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘মার্চের ২ তারিখে যখন ঘটনাটি ঘটে তার চার-পাঁচ মাস আগে থেকেই তারা কিন্তু পরিকল্পনা করে। তারা অলমোস্ট ১৩-১৪ জনের মতো। দুইটি ট্রাংক তারা গাড়ি থেকে নামিয়ে একটিকে বুথের মধ্যে নেয়। দুইটা গ্রুপ ছিল। তিনজন ওইখানে বসে ছিল। বাকি সাতজন ছিল পিকআপে। এই পিকআপটা আসলে খুব কাছাকাছি ডিসট্যান্সের মধ্যে ছিল। ১০-১৫ সেকেন্ড রান করলেই সঙ্গে সঙ্গে মুখোমুখি লাগিয়ে দেয়। লাগানোর পর দুটি গ্রুপ একসঙ্গে আক্রমণ করে।’
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর (হরিণহাটি) এলাকার অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড কারখানার গেটের ডাচবাংলা ব্যাংকের ফার্স্টট্র্যাক এটিএম বুথে গত ২ মার্চ দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে টাকা লোড করার সময় এক কোটি ৮৩ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা বোঝাই দুইটি ট্রাংক লুট করে পিকআপ ভ্যানে নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা সরবরাহ ও লোড করার দায়িত্বে রয়েছে নিরাপত্তা ও এটিএম ব্যবস্থাপনা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘মানি প্ল্যান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেড’। এ ব্যাপারে মানি প্ল্যান্ট লিঙ্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সৈয়দ আবজালুল আবেদীন বাদী হয়ে পরের দিন বৃহস্পতিবার রাতে কালিয়াকৈর থানায় মামলা করেন।
ঘটনার পর পরই পরিত্যক্ত অবস্থায় ওই ট্রাংক দুটি ও একটি এটিএম কার্ড ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানার আছিম পাটুলী ইউনিয়নের বাঁশদিল কড়ইতলা এলাকার মামুনের পুকুর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। এ ছাড়া পুলিশ ঘটনার সময় টাকা লোড করার দায়িত্বে থাকা ওই কোম্পানির সাত কর্মচারীসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মিন্টু মিয়া গত ৫ মার্চ গাজীপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক তাহমিনা খানম শিল্পীর সামনে হাজির হয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা এ ঘটনায় গাজীপুরের কোনাবাড়ি, বোর্ডবাজার ও ঢাকার আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান ও তল্লাশি চালিয়েছে।