লক্ষ্মীপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন গুলিবিদ্ধ, চার পুলিশ আহত
লক্ষ্মীপুর সদরের বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দ্বীন মোহাম্মদ জিহাদ (৩২) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় চার কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার ভোররাত ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির পর ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জিহাদ সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের রাজারাম ঘোষ গ্রামের বাসিন্দা।তিনি চট্টগ্রামের একটি ইলেকট্রিক কারখানায় কাজ করেন বলে জানান তাঁর স্ত্রী তাসলিমা আক্তার।
বন্দুকযুদ্ধে আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন কনস্টেবল সত্যরঞ্জন চাকমা, মিরন কান্তি চাকমা, নুর বক্স ও আমিরুল ইসলাম। তাঁদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিহাদ জানান, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুই ব্যক্তিসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার দেউলিয়া বাজার থেকে রাজারাম ঘোষ গ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে ইট-পুকুরপাড় বাজার এলাকায় চাটখিল থানার পুলিশ তাদের সিএনজির গতিরোধ করে। এ সময় মোহন নামের আরো দুজনকে আটক করে। তিনি বলেন, রাতে তাঁকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে অন্য একটি স্থানে নিয়ে তাঁকে গুলি করে পুলিশ। অন্য দুজনের বিষয়ে জানেন বলেও জানান তিনি।
জিহাদের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার বলেন, চট্টগ্রামের কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বাড়িতে আসেন তাঁর স্বামী। গতকাল সকালে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করার খবর পান।
লক্ষ্মীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি-সদর) জুনায়েত কাউছার জানান, জিহাদ বাহিনীর প্রধান জিহাদকে শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে নিয়ে রাতে বালাইশপুর এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এ সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলে জিহাদ গুলিবিদ্ধ হন। তিনি বলেন, জিহাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী।