‘রোয়ানু’র তাণ্ডবে পটুয়াখালীতে ৮৫৬ ঘর বিধস্ত
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/05/24/photo-1464095698.jpg)
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে পটুয়াখালীর বিভিন্ন জনপদে সাধারণ মানুষ, কৃষক, মাছচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিধস্ত হয়েছে বসতঘর। ভেঙে গেছে বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ। সাগর ও নদীর পানিতে টান না থাকায় পূর্ণিমার জো আর রোয়ানের প্রভাবে পানি প্রবেশ করে নামতে পারছে না। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের ২০ হাজার মানুষ।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোয়ানুর কারণে পটুয়াখালীতে ৮৫৬টি কাঁচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়া উপজেলার ১৩টি বেড়িবাঁধের মোট নয় কিলোমিটার বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে দুই হাজার ৩০২টি মাছের ঘের ও পুকুর।
এ ছাড়া ১০৮টি কাঁকড়ার ঘের প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাষি। টাকার অঙ্কে মাছ ও কাঁকড়াচাষিদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাত কোটি টাকা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আবুল হাসানাত বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য দেওয়া হবে কি না, এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দেবে।’
এ ছাড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ২৭৩ হেক্টর জমির মরিচ ফসল নষ্ট হয়েছে, ৪৩০ হেক্টর জমির তিল, ৭৩ হেক্টর জমির চিনাবাদাম, এক হাজার ৩২২ হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালীন সবজি, ৪৬ হেক্টর জমির পানবরজ ও ১৯৬ হেক্টর জমির আউশের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এসব ক্ষয়ক্ষতির তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক এ কে এম শামীমুল হক সিদ্দিকী বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দুই লাখ ২০ হাজার নগদ টাকা ও ১৮০ মেট্রিক টন চাল বিভিন্ন উপজেলায় বিতরণের জন্য বণ্টন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, গত রোববার থেকে সব উপজেলায়ই ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া যাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে তাদের ঘর মেরামতের জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।