ঈদ, জন্মাষ্টমী আর প্রবারণায় জমজমাট বান্দরবান
বান্দরবানে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাও ব্যস্ত কেনাকাটায়। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ঈদ, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা (ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে উৎসব) সামনে রেখে বান্দরবানের বিপণিবিতানগুলোতে রুচিশীল পোশাকের সমাহার ঘটেছে।
শার্ট, প্যান্ট, থ্রিপিস, ফতুয়া, পাঞ্জাবি ও শাড়িতে নতুন বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। দেশি-বিদেশি পোশাকের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে বান্দরবানের পাহাড়িদের তাঁতে বোনা পোশাকও স্থান পেয়েছে দোকানে।
বিপণিবিতানগুলো সাজানো হয়েছে ভিন্ন সাজে। ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াতে আলোকসজ্জার পাশাপাশি নানা ধরনের পুরস্কারেরও আয়োজন করা হয়েছে।
বান্দরবান বাজারের কেএসপ্রু মার্কেট, চৌধুরী মার্কেট, ঝুমুর মার্কেট, হক টাওয়ার, মাস্টার মার্কেট, ফোর স্টার মার্কেট এবং বাজারের ২ ও ৩ নম্বর কাপড়ের গলিতে কেনাকাটার ধুম পড়েছে।
নানা বয়সের লোকজন পছন্দের পোশাক কিনছেন দেদার। কোথাও কোনো মার্কেট ফাঁকা নেই।
মার্কেটে আসা ক্রেতা শারমিন আকতার, আফসানাসহ অনেকে বলেন, কাপড়চোপড়ের দাম অনেক বেশি হাঁকা হচ্ছে। কাপড় পছন্দ হলেও দামের কারণে কিনতে পারছেন না। ঈদের বাজার লাগামহীন। প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই বান্দরবানে বিপণিবিতানগুলোতে।
বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম, নূরুল আলম জানান, রমজানের শুরুর দিকে মোটেও বেচাবিক্রি হয়নি। কিন্তু এখন ক্রেতাদের সাড়া মিলছে। দোকানে বেচাবিক্রিও বেশ ভালো। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না। বেচাবিক্রিতে তার প্রভাব পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির ফলে সাধারণ মানুষ আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মিলাতে পারছে না। এ কারণে এবার বেচাবিক্রি কিছুটা কম।
তবে ঈদের পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্মাষ্টমী আর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমার কারণে বাজারে বিক্রি অনেকটাই বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে উৎসবের কারণে বিপণিবিতানসহ জেলাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।