নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা, সন্দেহভাজন যুবক আটক
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় এক মুদি দোকানিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার সোনাকান্দা নামাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শামীম আহমেদ নামের এক যুবককে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন।
নিহত কুতুবউদ্দিন বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেনের বড় ভাই। তাঁর বাবা প্রয়াত ইউনুস আলী বেপারী।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা নামাপাড়া এলাকায় মুদি দোকান ছিল কুতুবউদ্দিনের। প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান তিনি।
রাত ১২টার দিকে কুতুবউদ্দিনের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করা শামীম আহমেদ জানান, দোকানের তালা খোলা। বাড়ির পাশেই প্রধান সড়কের উল্টো দিকে দোকানে এসে কুতুবউদ্দিন দেখেন, সব ঠিক আছে। পরে আবার বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় স্থানীয় কয়েক যুবককে বিষয়টি জানান তিনি। পরে শোয়ার কক্ষ তৃতীয় তলার দরজার সামনে গেলে চিৎকার করে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন কুতুবউদ্দিন। তাঁর চিৎকারে পরিবারের লোকজন কাছে গেলে শামীম আহমেদ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় রাস্তায় থাকা লোকজন তাঁকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
পরে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান কুতুবউদ্দিন।
ওসি আরো জানান, নিহত কুতুবউদ্দিনকে গলায় ও পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ শামীমকে গ্রেপ্তার করে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি উদ্ধার করে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার শামীম আহমেদ কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সবাহল এলাকার বাসিন্দা। তিনি বন্দর উপজেলার এনায়েতনগর এলাকার আনু বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।