অশালীন চলাফেরার কারণে পয়লা বৈশাখের ঘটনা : আল্লামা শফী
নারীদের লেখাপড়া ও কর্মসংস্থানের জন্য আলাদা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তিনি বলেছেন, ‘পহেলা বৈশাখের দিনে ঢাকায় নারীর বস্ত্রহরণসহ শ্লীলতাহানি হয়েছে। এটা কোনো মাদ্রাসার ছাত্র করেনি। একসাথে লেখাপড়ার সুযোগে অশালীন চলাফেরার কারণে এ পরিণতি হয়েছে।’
তবে একই অনুষ্ঠানে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, মেলার নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভদ্র নারীদের ‘বিবস্ত্র’ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ফেনী শহরের মিজান ময়দানে হেফাজতে ইসলাম ফেনীর উদ্যোগে শানে রেসালাত মহাসম্মেলনে এসব কথা বলেন আল্লামা শফী। তিনি বলেন, ‘নারীরা আমাদের দুশমন নয়। তাদেরও লেখাপড়া ও কর্মসংস্থান দরকার। তাই তাঁদের লেখাপড়া ও কর্মসংস্থানের জন্য পৃথক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। মন্ত্রী-এমপিরা বলছেন, মাদ্রাসা শিক্ষার দরকার নেই, অথচ কোনো মহিলা মাদ্রাসায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।’
আল্লামা শফী আরো বলেন, ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ মেনে চলতে হবে। এই মেনে চলার নামেই হেফাজত। এগুলোর একটি মেনে না চললে সে নাস্তিক হয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নবীর শিক্ষা ও আদর্শ না থাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতি। বৈশাখী মেলা নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু মেলার নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভদ্র নারীদের বিবস্ত্র করা হয়েছে। তারা মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। এতে তারা প্রধানমন্ত্রীর ইজ্জতও নষ্ট করেছে। দেশের মানুষ তা সহ্য করবে না।’ তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
জুনায়েদ বাবুনগরী আরো বলেন, ‘হেফাজতের আন্দোলন কোনো ক্ষমতা বা গদির জন্য নয়। সরকারবিরোধীও নয়। হেফাজতের আন্দোলন নাস্তিকের বিরুদ্ধে।’
মাওলানা নূরউল্লাহ মুছাপুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।