টেকনাফে গোপন বৈঠক, ১১ জনকে আসামি করে মামলা
কক্সবাজারের টেকনাফে গোপন বৈঠকের সময় যৌথ টাস্কফোর্সের অভিযানে গ্রেপ্তার তিনজনকে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটক সৌদি আরবের নাগরিককে তাঁদের দূতাবাসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের হাবিলদার বাবুল মিয়া বাদী হয়ে আটক তিনজন ও পলাতক আটজনসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। এরপর গ্রেপ্তার ছালাউল ইসলাম, মৌলভি. সৈয়দ করিম ও মৌলভি ইব্রাহীমকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করে। তবে আটক সৌদি নাগরিককে থানায় সোপর্দ না করে দূতাবাসে হস্তান্তর করা হয়।
গত ৩০ জুলাই দুপুরে টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার শামলাপুরের নতুন পাড়ায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ ইকবালের নেতৃত্বে পুলিশ-বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের অভিযানে আটক সৌদি নাগরিক আহমেদ আল সালেহ আল বাদি, হাফেজ ছালাহুল ইসলাম, মৌলভি সৈয়দ করিম ও টাঙ্গাইলের মৌলভি ইব্রাহীমকে আটক করে টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরে নেওয়া হয়। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানায় হস্তান্তর হয়।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ জানান, ছালাউল কক্সবাজারের লিংক রোডে ইমাম মুসলিম (রা.) ইসলামিক সেন্টারের মহাপরিচালক। সৌদি এক নাগরিক বাহারছড়া এলাকায় একটি হেফজখানা ও এক উন্নতমানের ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় দাতা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক চলছিল।
অনুমতিবিহীন এই বৈঠকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যৌথ টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে। এ সময় এক তুরস্কের নাগরিকসহ চার-পাঁচজন পালিয়ে যান।