বান্দরবানে জেএসএস জেলা সভাপতি তিনদিনের রিমান্ডে
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/08/02/photo-1470157872.jpg)
চাঁদাবাজি, গুম হত্যা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মামলায় পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) বান্দরবান জেলা সভাপতি উছোমং মারমার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
পুলিশ ও আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার বিকেলে উছোমং মারমাকে বান্দরবানের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তাহমিনার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আসামির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বান্দরবান সদর উপজেলার সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা (আওয়ামী লীগের সুয়ালক ইউনিয়ন কমিটির সহসভাপতি) আবদুল করিমের করা মামলায় গত রোববার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কালাঘাটার নিজ বাড়ি থেকে উছোমং মারমাকে গ্রেপ্তার করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিক উল্লাহ জানান, গ্রেপ্তার জেএসএস জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অপহরণসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মামলায় পুলিশ তাঁকে আদালতে হাজির করে আটদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল। আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
প্রসঙ্গত, বান্দরবান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মংপু মারমা অপহরণের তালিকাভুক্ত আসামি জেএসএস জেলা সভাপতি উছোমং মারমাসহ জনসংহতি সমিতির শীর্ষ ১০ নেতা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন। সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ১৩ জুন রাতে জেলার জামছড়িপাড়া থেকে আওয়ামী লীগে নেতা মংপু মারমাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে জনসংহতি সমিতির অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। অপহরণের পর অপহৃতের জামাতা হ্লামংচিং মারমা বাদী হয়ে জেএসএসের শীর্ষ নেতাদের নামসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় অপহরণ মামলা করেন।