সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে না
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘ভোটারদের মানসিক স্বস্তি আনতে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। আইনে না থাকায় তাঁদের বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে না।’
আজ মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার ব্যাপারে সিইসি বলেন, ‘সেনাবাহিনী যথেষ্ট কার্যকর। আমাদের সেনাবাহিনী অত্যন্ত সুনামের সেনাবাহিনী। বিদেশে তারা অনেক কৃতিত্বের পরিচয় দিচ্ছে। দেশেও তারা দুর্যোগে, দুঃসময়ে পাশে আছে। বিচারিক কার্য আইন দিয়ে পরিচালিত। যেভাবে আইন আছে সে আইনে থাকবে। সে আইন মোতাবেক হতে হবে। আইনের ব্যত্যয় করে তো আর হবে না। তবে আমাদের পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ যেসব আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আছেন তাঁরা বলেছেন যে পর্যাপ্ত পরিমাণ লোকবল তাদের আছে। আমরা যা চেয়েছি তার চাইতে বেশি লোক দিতে পারবেন। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমরা কিন্তু আগেও ছয়টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনর করেছি। সেখানে আমরা সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য ডাকি নাই। কেননা পরিস্থিতি এদের দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এবারও সেই একই পরিস্থিতি বিদ্যমান। আমাদের এই নির্বাচনেও সেনাবাহিনী ডাকার কোনো প্রয়োজন ছিল না। তবুও অতি সাম্প্রতিক কালে আমরা খুব আতঙ্কিত সময় পার করেছি। জনগণ এখনো দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে। যদিও পরিস্থিতি অনেক ভালো হয়ে গেছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা আশা করি, তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন।’
প্রার্থীদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনী নীতিমালা নিজেরাই মেনে চলুন। আমাদের যেন ফোর্স করতে না হয়।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে বিএনপি নেতাদের অভিযোগের ব্যাপারে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে কাজী রকিবউদ্দিন বলেন, ‘উনাদের আমরা বলেছি যে সবাইকে আচরণবিধিমালা মেনে চলতে হবে। উনারা বলেছেন যে আচরণবিধিমালা মানার জন্য উনাদের প্রার্থী এবং উনাদের প্রার্থীর সমর্থকদের জানাবেন। অভিযোগ যা আছে সুনির্দিষ্ট হতে হবে।ঢালাওভাবে বললে হবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশের কাছ থেকে খবর নিয়েছি। তারা বলেছে, দুদিক থেকে মামলা হয়েছে। আমরা বলেছি অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটা যেন নিষ্পত্তি হয়।’
ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার প্রসঙ্গে কাজী রকিবউদ্দিন বলেন, ‘এটা ব্যয়বহুল ব্যাপার। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য যে ব্যবস্থা নিয়েছি তা যথেষ্ট পরিমাণে আছে।’