সেই যুবক ‘পালানোর সময়’ গুলিবিদ্ধ
গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলস্টেশনে ঢাকা-গাজীপুর পথে চলাচলকারী ট্রেন তুরাগে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আটক সেই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রেলওয়ে পুলিশের কমলাপুর থানার ওসি এম এ মজিদ এনটিভিকে বলেন, ‘আজকে সকাল বেলা তুরাগ ট্রেনে আগুন লাগানো হয়। আগুন লাগানোর ফলে উপস্থিত জনতা এবং পুলিশের সহায়তায় আমরা একজনকে পেট্রলসহ গ্রেপ্তার করি। সে দৌড়ে পালানোর সময় তাকে গুলি করা হয়। সে গুলিবিদ্ধ হয়। তার দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ করা হয়। সে এখন বর্তমানে জয়দেবপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।’
ওসি আরো বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাকে ছাত্রদলের সভাপতি করা হবে এই মর্মে নেতৃস্থানীয় লোকরা আশ্বস্ত করে তাকে পেট্রল ধরায়ে দেয় এবং এই আগুনের সূত্রপাত ঘটায়। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা এবং সরকারি সম্পদ রক্ষা করার জন্য যা যা করা দরকার পুলিশ তাই করবে। ঠিক তাই করা হয়েছে।’
রেল পুলিশ জানায়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে একটি ট্রেন স্টেশনে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীবেশী দুই দুর্বৃত্ত ট্রেনের কামরার দুটি আসনে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পালানোর সময় রেলস্টেশনের কর্মচারীদের হাতে একজন আটক হন। তাঁর নাম মমিন।
মমিন গাজীপুরের জোড়পুকুর এলাকায় ভাড়া থাকেন। পেশায় তিনি টাইলস মিস্ত্রি।
আটকের পর মমিনকে হাতকড়া লাগিয়ে জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের জানালার সঙ্গে আটকে রাখা হয়। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ‘ঘটনা স্যার কিছুই না, আমারে আনতাজি (আন্দাজে) ধইরা লইয়া আইছে।’
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মমিনকে দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. আব্দুস সালাম এনটিভিকে বলেন, সকালে পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রেল পুলিশ তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যায়।
এদিকে, গতকাল বুধবার রাতে পুলিশ লাইনের কাছে বাসে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় গাজীপুর সিটি মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।