পাহাড়ধসে রাঙামাটিতে সড়ক বন্ধ, ছিল না বিদ্যুৎ

প্রবল বর্ষণে পাহাড়ধসে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে আজ রোববার প্রায় তিন ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এ ছাড়া সকাল থেকে প্রবল বর্ষণে বৈদ্যুতিক তারের ওপর গাছ পড়ে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা রাঙামাটি শহর বিদ্যুৎহীন ছিল।
আজ ভোরের প্রথম প্রহর থেকেই রাঙামাটিতে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। বর্ষণের একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়া এলাকায় একটি বিশাল পাহাড়ধসে সড়কের ওপর পড়লে বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল। এ সময় সড়কের ভাঙা অংশের উভয় পাশে বিপুল পরিমাণ যানবাহন আটকা পড়ে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যোগাযোগব্যবস্থা। অনেকেই হেঁটে ওই অংশটি পার হয়ে নিরাপদে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রাঙামাটি শহর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টার পর সড়কের ওপর পড়া মাটির স্তূপ অপসারণ করলে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।
রাঙামাটি বাস মালিক সমিতির সভাপতি মঈনুদ্দিন সেলিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, প্রধান সড়কের ওপর পাশের পাহাড় ভেঙে মাটির বিশাল স্তূপ তৈরি হওয়ায় কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে দুপুর ২টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানিয়েছেন এই পরিবহন ব্যবসায়ী।
এদিকে আজ সকাল থেকে প্রবল বর্ষণে বৈদ্যুতিক তারের ওপর গাছ পড়ে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল রাঙামাটি শহর। প্রবল বর্ষণের ফলে সকাল ৮টার দিকে রাঙামাটি ঘাগড়া এলাকায় বৈদ্যুৎতিক তারের ওপর গাছ ভেঙে পড়লে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে পুরো শহর। পরে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা গিয়ে সাড়ে চার ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্বাভাবিক করেন।
রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘ঘাগড়ার যে জায়গায় বৈদ্যুতিক তারের ওপর গাছ পড়েছে, ঘাগড়া ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় সেখানে যেতে আমাদের বেশ কিছুটা সময় লেগেছে। ব্রিজ ভাঙা থাকায় আমাদের লোককে ব্রিজের অপর পাশে গাড়ি রেখে হেঁটে সেখানে পৌঁছাতে হয়েছে। যার ফলে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনে আমাদের বেশ কিছু সময় লেগে গেছে।’