ত্রিপুরায় নিতে ভারতের চালবাহী জাহাজ আশুগঞ্জ বন্দরে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর ব্যবহার করে ভারতের এক অংশ থেকে অন্য অংশে চাল পরিবহন শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ভারতের কলকাতা থেকে দুই হাজার ২৭২ দশমিক ৪৮৫ টন চাল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ আন্তর্জাতিক নৌবন্দরে এসে পৌঁছেছে এমভি অভি নামের একটি জাহাজ। এখান থেকে স্থলপথে এসব চাল নেওয়া হবে প্রথম ত্রিপুরায়।
আশুগঞ্জ নৌবন্দরের বার্থিং মাস্টার মো. মাইন উদ্দিন জানান, আজ বিকেল ৪টায় জাহাজটি বন্দরে এসে পৌঁছে। আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আগামীকাল বুধবার বিকেলে জাহাজের চাল খালাস করে ট্রাকের মাধ্যমে আখাউড়া স্থল বন্দর হয়ে সড়কপথে ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত ত্রিপুরা, আসামসহ সাতটি রাজ্যে যাবে।
চাল পরিবহনে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় পরিবহন ঠিকাদার মো. জিয়া উদ্দিন খন্দকার জানান, গত ১৫ জুলাই ভারতীয় খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই চাল নিয়ে কলকাতা বন্দর থেকে রওয়ানা হয় এম ভি অভি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী কমিশনার কামরুল ইসলাম (ভ্যাট ও কাস্টমস) টেলিফোনে এনিটিভি অনলাইনকে জানান, বাংলাদেশ-ভারত ট্রান্সশিপমেন্টের (আন্তনৌচলাচল) আওতায় হওয়ায় এ ক্ষেত্রে কোনো শুল্ক আদায় করা হচ্ছে না। তবে অভ্যন্তরীণ জাহাজের জন্য নির্ধারিত সব ধরনের চার্জ ও ফি ট্রানজিট পণ্য থেকে আদায় করবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। এর মধ্যে ভয়েজ পারমিশন ফি, পাইলট ফি, বার্থিং (অবস্থান) ফি, ল্যান্ডিং ফি, চ্যানেল চার্জ ও লেবার হোলিং দিতে হবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে।