জঙ্গি খতম হয়েছে, দেশ অভিশাপমুক্ত হয়েছে
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তামিম চৌধুরীর নিহতের ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তামিম চৌধুরী গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। আমরা তাঁকে অনেকদিন ধরে খুঁজছিলাম। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা ঠিকই তাদের খুঁজে বের করেছে। সেখানে তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। হলি আর্টিজানের মূল যে হোতা ছিল, সেই জঙ্গি খতম হয়ে গেছে। কাজেই দেশ আরেকটা অভিশাপমুক্ত হলো।’
‘তবে আবার প্রশ্ন হলো, তাদের মেরে ফেলা হলো কেন? তাদের বাঁচিয়ে রাখা হলো না কেন? বেঁচে থাকলে তো অনেক তথ্য পাওয়া যেত। এই তথ্য যেন আবার কেউ না দেয়। এটাও তো শোনা যায়। কারণ, এরা মরে গেলে তাদের জন্য কান্না। কেন কান্না? তার মানে, তাদের সূত্র, যোগাযোগটা কী?’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে জঙ্গিবিরোধী প্রচার ‘গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজন’ বলে একে আরো জোরদার করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে আজ শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এরপর সেখানে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন একটি ‘পাওয়ার পয়েন্ট’ উপস্থাপনা করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সদরের পাইকপাড়ায় দেওয়ানবাড়িতে অভিযানে যান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াতের সদস্যরা। এতে রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া হামলার ‘পরিকল্পনাকারী ও জোগানদাতা’ তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হন।
অন্য দুই জঙ্গি হলেন মানিক (২৫) ও ইকবাল (৩৫)। ঢাকার কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানের পর পালিয়ে যান ইকবাল।