সেই বাড়ির মালিক যা বললেন
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নারায়ণগঞ্জ সদরের পাইকপাড়ায় যে বাড়িটিতে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছেন, সেটি স্থানীয়দের কাছে ‘দেওয়ানবাড়ি’ নামে পরিচিত। তিনতলা এই বাড়িটির মালিক মোহাম্মদ নূরুদ্দিন দেওয়ান।
স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় থাকেন মালিক। দুই মাস আগে বাড়ির তৃতীয় তলাটিই ভাড়া নিয়েছিল তিন জঙ্গি।
আজ শনিবার সকালে দেওয়ানবাড়িতে অভিযানে যান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াতের সদস্যরা। এতে রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া হামলার ‘পরিকল্পনাকারী ও জোগানদাতা’ তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হন।
অন্য দুই জঙ্গি হলেন মানিক (২৫) ও ইকবাল (৩৫)। ঢাকার কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানের পর পালিয়ে যান ইকবাল।
এ ঘটনার পর বিকেল ৬টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির মালিক, তাঁর স্ত্রী, তিন ছেলেসহ মোট আটজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
এর আগে বাড়ির মালিক নূরদ্দিন দেওয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় গণমাধ্যমকর্মীদের।
নূরুদ্দিন দেওয়ান তখন বলেন, ‘এরা (জঙ্গিরা) গত মাসের ১ তারিখে আসে। এই মাস নিয়ে দুই মাস। তারা বলেছিল, একমি (ওষুধ) কোম্পানিতে চাকরি করে। আমি তাদের পরিচয়পত্র দিতে বলি। তারা পরে আমাকে পরিচয়পত্র দেয়। ১২ হাজার টাকায় বাসা ভাড়া নেয় তারা।’
‘তারা একজনের নাম বলে মুরাদ, আরেকজনের রানা। অপর ব্যক্তির নাম এই মুহূর্তে খেয়াল নাই।’
আজ সকাল সাড়ে ৫টা থেকে পৌনে ৬টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাড়িতে আসে বলে জানান বাড়ির মালিক। তখন এক নারী গৃহকর্মী বাড়ির মূল দরজা খুলে দেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাড়িমালিককে বলে, ‘আপনার বাড়িতে জঙ্গি আছে।’
‘সকাল ৯টার দিকে পুলিশ অ্যাকশনে যায়।’
‘অভিযানে কতজন মারা গেছে আমি জানি না। পরে আমার বোন ফোন করে জানায়, তিন-চারজন মারা গেছে।’